আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ রাজশাহীতে।
Published : 24 Nov 2022, 10:07 PM
রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে ‘মিথ্যা’ মামলা ও গ্রেপ্তারে নেতা-কর্মীদের হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন দলটির নেতারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর একটি কমিউনিটি স্টেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ বিষয়ে কথা বলেন।
বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের ধারাবাহিকতায় আগামী ৩ ডিসেম্বর রয়েছে রাজশাহীর কর্মসূচি।
এর আগে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর [সাংগঠনিক বিভাগ] ও সিলেটে সমাবেশ হয়েছে।
বাকি রয়েছে কুমিল্লা, রাজশাহী ও ঢাকা। কুমিল্লায় হবে আগামী শনিবার [২৬ নভেম্বর], রাজশাহীতে ৩ ডিসেম্বর এবং ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারর্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, যুগ্ম মহাসচিব সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।
লিখিত বক্তব্যে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, গণসমাবেশকে টার্গেট করে প্রশাসন দিয়ে নেতা-কর্মীদের হয়রানি করতে বিভিন্ন স্থানে হাতবোমার বিস্ফোরণের ঘটনা সাজানো হচ্ছে। সেসব ঘটনায় মামলা দিয়ে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
বুধবার রাত পর্যন্ত সাবেক সংসদ সদস্য নাদিম মোস্তফাসহ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তার অভিযোগ।
হারুনুর রশিদ বলেন, জনগণকে হয়রানির জন্য জড়িত পুলিশ সদস্যদের একদিন আইনের আওতায় আসতে হবে।
মিজানুর রহমান মিনু বলেন, রাজশাহীর গণসমাবেশ বানচাল করতে পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছেন। তার নির্দেশে সমাবেশ উপলক্ষে বিএনপির কর্মীসভায় বাধা দেওয়া হচ্ছে ককটেলের নাটক সাজানো হচ্ছে। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে।
“এটি বন্ধ না হলে এবার আমরা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করতে শুরু করব।”
তিনি আরও বলেন, যতই বাধা দিন আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী সমাবেশ হবে ঐতিহাসিক সমাবেশ। লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে এ সমাবেশ হবে রাজশাহী শহরজুড়ে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিবষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ আলী ইশা ও জেলার আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ।