পটুয়াখালীর কলাপড়া উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে নালিশি অভিযোগটি দেওয়া হয়।
Published : 26 Sep 2024, 11:28 PM
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার আগে মুহাম্মদ ইউনূসকে হত্যার হুমকিসহ কূটক্তি করায় সুনাম, খ্যাতি নষ্টের অভিযোগে পটুয়াখালী কলাপড়া উপজেলায় নালিশি মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কলাপড়া উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আশীষ রায়ের আদালতে অভিযোগটি দেওয়া হয়। শুনানি শেষে বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে কলাপড়া থানার ওসিকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কাইউম।
মামলার বাদী উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব মধুখালী গ্রামের আবুল হাসেম খানের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হাসান মাহমুদ। মামলায় আসামি করা হয়েছে একই গ্রামের মৃত তোজাম্বর আলী খানের ছেলে মাসুম বিল্লাহকে। তিনি বাংলাদেশ রেলওয়েতে পয়েন্টস ম্যান পদে কর্মরত।
বাদীর আইনজীবী হাফিজুর রহমান চুন্নু বলেন, পেনাল কোডের ৩০৭, ৪৯৯, ৫০৬ (খ) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ২ মে মুহাম্মদ ইউনূস একটি মামলায় হাজিরা শেষে আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেই সাক্ষাতকারের ভিডিও অনেক টিভি চ্যানেল আপলোড করে এবং সেগুলো শেয়ার হয়।
এরকম একটি ভিডিওতে ইউনূসকে উদ্দেশ করে আসামি লেখেন, ‘আপনাকে দেখে মনে হয় আমেরিকার দালাল।’ এতে বাদীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়।
মামলায় বলা হয়, আসামি এলাকায় বসে মুহাম্মদ ইউনূসকে সুদখোর, ইহুদি-পশ্চিমাদের দালাল এবং মানহানিকর বক্তব্য দেন। সর্বোপরি মুহাম্মদ ইউনূসকে একা পেলে গুলি করে হত্যার হুমকিও দেন।
তবে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাসুম বিল্লাহ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “মামলার বাদী হাসান মাহমুদ আমার আপন চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। গ্রামের স্কুলে নিয়োগ সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে আমাকে ঘায়েল করতে এমন কাল্পনিক ইস্যুতে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
“এ ছাড়া ঘটনার যে তারিখ বলা হয়েছে, সেদিন আমি গ্রামে নয়, অফিসে কর্মরত ছিলাম। অফিসের হাজিরা খাতায় আমার স্বাক্ষর রয়েছে।”
ফেইসবুকে প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে কটূক্তি, চট্টগ্রামে সাইবার আইনে মামলা
আদালতের নির্দেশনার ব্যাপারে জানতে চাইলে কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মেদ বলেন, “লোক মুখে আমিও শুনেছি আদালতে একটি মামলা হয়েছে। কী আদেশ হয়েছে তা জানি না। এখনও কোনো কপি হাতে পাইনি।”
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। তিন দিন পর ৮ অগাস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা সম্পর্কে ‘অশালীন মন্তব্যের’ অভিযোগে মঙ্গলবার চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবিরের আদালতে আরেকটি মামলা হয়েছে। সেই মামলাটির বাদী হাফেজ মো. সাইফুদ্দিন (২৮)।
তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানার হারুয়ালছড়ি বেরুন্ন্য পাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক।
এই মামলায় আসামি করা হয়েছে- উপজেলার পশ্চিম নানুপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় ব্যবসায়ী মোকতার হোসেনকে (৫২)।