জনস্রোত মিশে যায় সৈকতের উত্তরের শৈবাল, কবিতাচত্বর পয়েন্ট আর উত্তরের সি গাল, সুগন্ধা থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত।
Published : 13 Oct 2024, 09:30 PM
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে উন্মুক্ত মঞ্চের ‘বিজয়া সম্মেলন’ ও বড় সমাগমের মধ্যদিয়ে সাগরে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।
রোববার দুপুর ২টা থেকে মঞ্চে বিজয়া সম্মেলনের অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এ সময় কক্সবাজার জেলা ও আশপাশের এলাকার মণ্ডপ থেকে থেকে প্রতিমাগুলো ট্রাকেযোগে আসতে শুরু করে প্রতিমা।
সেইসঙ্গে পর্যটক, পূজারি ও স্থানীয়রা সৈকতে ভিড় করতে শুরু করেন।
বিকাল সাড়ে ৩টার আগে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে নামে জনস্রোত।
পরে বিজয়া সম্মেলনের উন্মুক্ত মঞ্চে বক্তব্য, ধর্মীয় আচার-আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে সাগরে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব- দুর্গাপূজার।
এর আগে লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চ ঘিরে বালিয়াড়িতে প্রতিমাগুলো সারি বেঁধে রাখা হয়। আর জনস্রোত মিশে যায় সৈকতের উত্তরের শৈবাল, কবিতাচত্বর পয়েন্ট আর উত্তরের সি গাল, সুগন্ধা থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত।
বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সাগরের ঢেউয়ে ‘মা দুর্গা কী, জয়’ শ্লোগানে একে একে ভাসিয়ে দেওয়া হয় প্রতিমাগুলো।
সৈকতের লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চের ‘বিজয়া সম্মেলন’ সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু।
অতিথি ছিলেন- কক্সবাজারের ডিসি মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, র্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন, কক্সবাজারে এসপি মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মাহফুজুল ইসলাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্না, সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার কামাল, এবি পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম ফারুক কায়সার, জামায়াত নেতা শহীদুল আলম বাহাদুর।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উদয় শংকর জানান, ৩ লাখের অধিক মানুষের সমাগমে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয়েছে।
এছাড়া একই সময়ে কক্সবাজারের রামুর বাঁকখাল নদী, চকরিয়ার মাতামুহুরী, টেকনাফের সাগর ও নাফনদী, উখিয়ার ইনানী সৈকত ও রেজু নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।