বিদেশি পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত বলে জানান বাবু।
Published : 22 Oct 2022, 12:12 AM
প্রেমের টানে বাংলাদেশি তরুণকে বিয়ে করা মিশরীয় তরুণী প্রথবারের মত শ্বশুরবাড়ি এলেন। বিদেশি বধূকে দেখতে নোয়াখালীর গ্রামটিতে লেগেছে ভিড়।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশি তরুণ তার মিশরীয় স্ত্রীকে নিয়ে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে তার বাড়িতে আসেন।
ওই গ্রামের গোলাম মাওলা মিয়ার ছেলে গোলাম সারোয়ার বাবু (২৬) ২০১২ সালে জীবিকার সন্ধানে মিশর যান। সেখানে তিনি একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। ২০২০ সালের মিশরীয় তরুণী ডালিয়াকে (২৬) বিয়ে করেন।
বাবু জানান, মিশরে ডালিয়াদের বাসার পাশেই থাকতেন তিনি। ডালিয়ার ভাইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বের সুবাধে মাঝে-মধ্যে তাদের বাসায় যাতায়াত ছিল বাবুর। এক সময় তিনি তার ভালো লাগার বিষয়টি ডালিয়াকে জানান। এতে ডালিয়া সায় দিলে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
বাবু বলেন, “২০১৮ সালে বিয়ের প্রস্তাব দিলে ডালিয়ার পরিবারের কেউ রাজি হননি। পরে ডালিয়া অনেক কান্নাকাটি করে তার মা-বাবাকে রাজি করান। ২০২০ সালে ওই দেশের আইন মেনে পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়। গত বছর আমাদের একটি বাচ্চা হয় কিন্তু পরে মারা যায়। বর্তমানে সুখে-শান্তিতেই দিন কাটাচ্ছি।”
বিদেশি পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত বলেও জানান বাবু।
বাংলা না জানা ডালিয়া মিশরীয় ভাষায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। কথার বাংলায়ন করেন বাবু।
প্রথমবারের মত বাংলাদেশে আসার অনুভূতি ব্যক্ত করে তিনি জানান, এটা তার স্বামীর দেশ। স্বামীকে ভালোবাসেন, তাই স্বামীর দেশকেও ভালোবাসেন।
তিনি আরও জানান, এদেশের পরিবেশ ও খাবার তার বেশ ভালো লেগেছে।
শ্বশুরবাড়িতে দুই মাস থেকে স্বামীকে নিয়ে আবার মিশর ফিরে যাবেন বলেও জানান তিনি। তবে বাংলা না জানায় কারো সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পারছেন না বলে তার কষ্ট লাগছে।
এদিকে বিদেশি বধূকে দেখতে আশপাশের এলাকার মানুষের পদচারণায় মুখরিত বাবুদের বাড়ি।
বাবুর বাবা গোলাম মাওলা বলেন, বিদেশি মেয়েকে পুত্রবধূ হিসেবে পেয়ে তার পরিবারের সবাই আনন্দিত। পুত্রবধূ বাংলা ভাষা বলতে না পারলেও ইশারা-ইঙ্গিতে বোঝানোর চেষ্টা করছেন।
নবীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সোহেল বলেন, “বিদেশি বধূকে দেখার জন্য শত শত মানুষ বাবুদের বাড়িতে ভিড় করছে। মিশরের মেয়েকে বধূ হিসেবে পেয়ে গ্রামের মানুষ খুব খুশি। বাবু ও তার স্ত্রীর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।”