শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার শরফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
Published : 10 Jul 2024, 01:12 AM
খুলনার শরফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম হত্যা মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতাসহ দুজনকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান তামান্না পুলিশের আবেদনে এই অনুমতি দেন বলে জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী সুজিত অধিকারী।
গ্রেপ্তাররা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য আজগর বিশ্বাস তারা ও সাইদুর রহমান ওরফে বাবু।
আজগর খুলনা নগরের সোনাডাঙ্গা থানার বাংগালবাড়ি রোডের হারেজ উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে এবং বাবু ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া গ্রামের ফজলে সরদারের ছেলে।
অ্যাডভোকেট সুজিত বলেন, সোমবার দুপুরে খুলনা নগরের রায়েরমহল এলাকায় নিজের ব্যবসায়িক কার্যালয় বিশ্বাস প্রোপার্টিজ থেকে আজগর বিশ্বাস তারাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম হত্যা মামলায় দুজনকে আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল। আদালত দুজনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আজগর বিশ্বাস তারাকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেপ্তারের সময় তার লাইসেন্স করা একটি শর্টগান, ৫৬টি শর্টগানের গুলি ও ৯টি গুলির খোসা জব্দ করা হয়।
তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ৯টি গুলি কোন কাজে ব্যবহার করেছেন, তার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি আজগর। এমনকি গুলি ব্যবহার করার পর নিয়মানুযায়ী থানায় লিখিতভাবে জানানোর কথা থাকলেও তিনি তা করেননি।
ওই শর্টগান থেকে রবিউল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে।
পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার অন্যজন বাবু একজন ‘চিহ্নিত খুনি’। তাকে সোমবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার শরফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
৪৫ বছর বয়সী রবিউল ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং শরফপুর ইউনিয়নের টানা তিনবারের চেয়ারম্যান।
স্ত্রীর চাকরির সুবাদে তিনি খুলনা নগরের নিরালা আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। ঘটনার সময় তিনি ডুমুরিয়া থেকে মোটরসাইকেলে খুলনার বাসায় ফিরছিলেন।
এ ঘটনায় রোববার রাতে রবিউলের স্ত্রী শায়লা ইরিন বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
তবে নির্বাচনকেন্দ্রিক দ্বন্দ্ব থেকে রবিউলকে খুন করা হতে পারে বলে এজাহারে লেখা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ডুমুরিয়ার স্থানীয়রা জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বর্তমান চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের পক্ষে কাজ করেছিলেন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন আবাসন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত আজগর বিশ্বাস তারা।
পুরানো খবর