“হামলার এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।”
Published : 30 Dec 2024, 01:23 PM
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শাহীন আক্তার জোদ্দারের ওপর হামলার ঘটনায় বিচারের দাবিতে কর্মবিরতি, কালো ব্যাজ ধারণ এবং মানববন্ধন করেছেন চিকিৎসকরা।
জেলা বিএমএ (বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন শাখা) ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির আয়োজনে সোমবার বেলা ১১টা থেকে হাসপাতাল চত্ত্বরে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মানবন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
গত ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে হামলার শিকার হন হাসপাতালটির চিকিৎসক শাহীন আক্তার। তিনি শহরের কমরপুর এলাকার বাসিন্দা।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দিলরুবা জেবা বলেন, “হামলার এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আমরা অতি দ্রুত তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।”
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের পরিচালক মো. হুমায়ন কবির, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-অধ্যক্ষ ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার মোর্শেদ (ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ), সিনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি) মো. ফারুক আহমেদ ও ডা. সানিয়াত জামান (বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি) মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুরে ধাক্কা লাগার জেরে চিকিৎসককে মারধর, ভাঙল দাঁত
ঘটনার দিন প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, চিকিৎসক শাহীন হাসপাতালের ট্রমা সেন্টার থেকে নিচে নামছিলেন। এ সময় জেড এম প্রাইভেট নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. মোত্তাকিম নিচে থেকে ওপরে উঠছিলেন। অসাবধানতাবশত শাহীনের সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে।
এতে ‘ক্ষিপ্ত হয়ে’ মুত্তাকিমের শার্টের কলার ধরে চড়-থাপ্পড় মারেন ওই চিকিৎসক। পরে বাড়ি ফিরে মোত্তাকিম তার লোকজন নিয়ে শাহীনের কাছে গিয়ে ঘটনার জবাব চান। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাহীনকে মারধর করা হয়। এতে তার দুটি দাঁত ভেঙে যায়। পরে এ ঘটনায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দিলরুবা থানায় মামলা করেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মোত্তাকিম (২১) শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার মো. আলমগীরের ছেলে। তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নি করছেন।
মোত্তাকিমকে গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, “মূল অভিযুক্ত মোত্তাকিমকে গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত তাকে ধরা সম্ভব হবে।”