শুধু এক্সরে নয়, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালটির ইকো মেশিনও বিকল।
Published : 05 Dec 2023, 09:08 PM
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘টেকনিশিয়ান না থাকায়’এক্সরে প্রায় দুই মাস ধরে বন্ধ থাকলেও ‘বিষয়টি জানা না থাকায়’ নিয়মিত পরীক্ষা করাতে আসছেন রোগীরা।
প্রতিদিনই রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শে তালাবদ্ধ এক্সরে রুমের সামনে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করে ফিরে যাচ্ছেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ‘কিছু জানাচ্ছে না‘ বলে অভিযোগ এসেছে।সরকারি হাসপাতালের সেবা বন্ধ থাকায় বিপাকে পরেছেন রোগীরা।
মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে এক্সরে রুমে তালা ঝুলতে দেখা গেলো। তখনও বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন এক্সরে করাতে আসা কয়েকজন রোগী।
সেখানে সাভার নামা বাজার থেকে আসা নিমা আক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো, বুকে অস্বস্তি নিয়ে চিকিৎসক দেখানোর পর তাকে এক্সরে করাতে বলা হয়। পরে তিনি ওই কক্ষের সামনে এসে তালা মারা দেখেন।
তারপরও কেন অপেক্ষা করছেন জানতে চাইলে নিমা বলেন, “সকাল থেকে অপেক্ষা করছি। এক্সরে রুমটি তালাবন্ধ থাকলেও এখানে পরীক্ষা হবে কি হবে না, তা নিয়ে হাসপাতালের কেউ কিছু বলছেও না।”
নিমা আক্তারের মতো সেখানে অপেক্ষায় থাকা আরও কয়েকজন একই অভিযোগ করলেন।
শুধু এক্সরে নয়, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালটির ইকো মেশিনও বিকল।
দক্ষিণদড়িয়াপুর এলাকার রুপোকুর রহমান হাসপাতালে ইকো করানোর জন্য গিয়ে জানতে পারেন মেশিন বিকলের খবর।
রুপোকুর বলেন, পরে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তিনি ইকো করিয়েছেন। তাতে বাড়তি টাকা গুনতে হয়েছে।
ভুক্তভোগী একাধিক রোগী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, টাকার অভাবে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসি, কিন্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা যদি বাইরে থেকেই করতে হয়,তাহলে সরকারি হাসপাতাল থাকার দরকার কি।
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়মুল হুদা বলেন, “আমাদের হাসপাতালে কোন কিছুর কমতি নেই। তবে প্রায় দুই মাস ধরে এক্সরে বন্ধ রয়েছে।
এক্সরে টেকনিশিয়ান এলপিআরে (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটি) যাওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে, তাই রোগীদের কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে।
“নতুন টেকনিশিয়ান চেয়ে আবেদন করা হয়েছে কিন্তু এখনও কোন রেজাল্ট আসেনি।”
আর ইকো ম্যাশিনের ব্যাপারে জানতে চাইলে- “আমাদের এখানে সবই ঠিক আছে” বলে কথা এড়িয়ে যান।