Published : 05 May 2025, 05:04 PM
বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর ও কাস্টমসে লিংক সার্ভিস কাজ না করায় দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি বিঘ্নিত হচ্ছে।
২৮ এপ্রিল থেকে এই পরিস্থিতি চলছে। এতে পেট্রাপোল বন্দরে পণ্যজট দেখা দিয়েছে।
প্রায় দেড় হাজার ট্রাক পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় পেট্রাপোল বন্দরে দাঁড়িয়ে আছে বলে জানান ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, পেট্রাপোল বন্দরের কাস্টমস ও বন্দরের অনলাইন সিস্টেমের লিংক সার্ভিস টাটা কোম্পানি দিয়ে থাকে। ২৮ এপ্রিল দুপুরে ঝড়ের পর লিংকে সমস্যা দেখা দিয়েছে। টাটার কলকাতা কার্যালয় সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। এখন দিল্লি থেকে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ অনলাইন সিস্টেমের বিকল্প হিসেবে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কিছু পণ্য ছাড় করছে বলেও জানান কার্তিক চক্রবর্তী।
বেনাপোল কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, পেট্রাপোল বন্দরে ইন্টারনেট লিংক না থাকায় তারা অনলাইন সিস্টেমে কাজ করতে পারছেন না। অনলাইনের বিকল্প হিসেবে ট্যাবে ওয়াইফাই কানেকশন দিয়ে নামমাত্র কার্যক্রম চালু রেখেছে পেট্রাপোল কাস্টমস।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুদিন বন্দরের কাজকর্ম বন্ধ ছিল। শনিবার ভারত থেকে ১৫০ ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে এসেছে আর রপ্তানি পণ্য নিয়ে ২১৩টি ট্রাক ভারত গেছে।
রোববার এসেছে ৩৪ ট্রাক পণ্য আর ভারত গেছে ১১১ ট্রাক পণ্য। অথচ স্বাভাবিক সময়ে এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে সাড়ে ৩০০ থেকে ৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে আর রপ্তানি পণ্য নিয়ে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ ট্রাক পণ্য ভারতে যায়।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের কার্গো সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাকিব বলেন, সোমবার দুপুরের পর আমদানি-রপ্তানি একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। এরপর শনি ও রোববার ম্যানুয়ালি আমদানি ও রপ্তানি চালু রাখা হয়েছে। সেখানে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক কম আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের অনেক শিল্প-কলকারখানায় কাঁচামালের সংকট দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে রপ্তানি পণ্যও যথাসময়ে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বলেন, অনলাইন সিস্টেমে বন্দর ও কাস্টমসের সব কাজকর্ম পরিচালিত হয়। এক সপ্তাহ ধরে ওপারের লিংক সিস্টেমটি অকার্যকর রয়েছে। এতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম প্রায় বন্ধ। অতি জরুরি ও পচনশীল পণ্য চালান কেবলমাত্র বিশেষ ব্যবস্থায় চালু রাখা হয়েছে।
“বিষয়টি নিয়ে ওপারের বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে তবে কবে বা কখন থেকে পুরোপুরি চালু হবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি।”