Published : 29 Apr 2025, 10:22 PM
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কিছু বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার আলগী ইউনিয়নের পশ্চিম আলগী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলগী ইউনিয়নের হরিরহাট বাজারের দুটি দোকান ঘরের জায়গা কেনাবেচা নিয়ে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এ নিয়ে সকালে কয়েক গ্রামের গণ্যমান্যদের নিয়ে সালিশি বৈঠক বসে।
বৈঠকের এক পর্যায়ে পশ্চিম আলগী গ্রামের আলী মাতুব্বরের লোকজনের সঙ্গে ও একই গ্রামের দেলোয়ার মাতুব্বরের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্র, ডাল, কাতরা, টেঁটা, রামদা, ইট ও রেললাইনের পাথর নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
সংঘর্ষ চলাকালে আলী মাতুব্বরের লোকজন দেলোয়ার মাতুব্বরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। পরে দেলোয়ার মাতুব্বরের লোকজন পাল্টা হামলা চালায়। সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। সেইসঙ্গে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
দেলোয়ার মাতুব্বর বলেন, “আলী মাতুব্বর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য থাকাকালে হরিরহাট বাজারের প্রায় ১০টা দোকানঘর দখল করেন। পরে তিনি ৬ থেকে ৭টি দোকান বিক্রি করেন। এর মধ্যে আমাদের দুটি দোকান গোপনে পাশের এক গ্রামের লোকের কাছে বিক্রি করেন।
“এ নিয়ে সালিশি বৈঠক চলছিল। সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় আলী মেম্বারের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চলায়। এতে আমাদের ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়। এ ছাড়া তারা কমপক্ষে ১০ থেকে ১২টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।”
দেলোয়ার মাতুব্বরের অভিযোগ অস্বীকার করে আলী মাতুব্বর বলেন, “আমাদের লোকজনের সঙ্গে দেলোয়ারের লোকজনের কথা-কাটাকাটির এক পর্যায় সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে আমাদের ১০ থেকে ১১ জন আহত হয়েছেন।”
এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি আশরাফ হোসেন।