এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা এই হাট। তবে ছোটখাটো হোটেল মালিকরাও এখান থেকে মাংস কেনেন।
Published : 17 Jun 2024, 10:40 PM
প্রতি বছরের মত এবারও বগুড়ার সাতমাথা জিরো পয়েন্টে বসেছে কোরবানির মাংসের হাট। এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা এই হাট। তবে শহরের ছোটখাটো হোটেল মালিকরাও এখান থেকে মাংস কেনেন।
ভিক্ষুক ও ছিন্নমূল পরিবারগুলো মানুষের বাসা-বাড়ি ঘুরে ঘুরে বিকাল পর্যন্ত মাংস সংগ্রহ করে। সেইসব মাংসের কিছুটা নিজের জন্য রেখে বাকিটা তারা এই হাটে বিক্রি করে দেন। রাত ১০টা পর্যন্ত চলে এই হাটের কেনাবেচা।
কোরবানির ঈদ উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও অন্য এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষ প্রতি বছর ট্রেনযোগে বগুড়া শহরে চলে আসেন।
অবিরন বিবি নামে হাটে আসা এক মাংস বিক্রেতা জানান, তার বাড়ি গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জে। প্রতি বছরের মত এবারও তিনি এসেছেন বগুড়ায়। কোরবানি দেওয়া বাড়িগুলোতে ঘুরে ঘুরে মাংস সংগ্রহ করেছেন ৭ কেজির মত। কিছু মাংস নিজের জন্য রেখে বাকিটা বিক্রি করেছেন সাড়ে ৫০০ টাকায়।
৬০ বছর বয়সি হাকিম জানান, তিনি এসেছেন বগুড়ার সান্তাহার থেকে। বাসায় বাসায় ঘুরে সাড়ে ৮ কেজি মাংস সংগ্রহ করতে পেয়েছেন । ভালো মাংস প্রতি কেজি বিক্রি করেছেন সাড়ে ৬ শত টাকা কেজি দরে। বাকিগুলো ৪ থেকে ৫শ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বেচেছেন।
আব্দুল লতিফ নামে শহরের নিশিন্দারা এলাকার এক ক্রেতা জানান, নিজের সামর্থ্য নেই কোরবানি দেওয়ার। কিন্তু ঈদে ছেলে-মেয়েরা তাকিয়ে থাকে মাংসের দিকে। তাই সাড়ে ৫০০ টাকা দরে ৪ কেজি মাংস তিনি কিনেছিন।
চারমাথার এলাকার ফুটপাতের হোটেল মালিক হামিদ জানান, বাজারে গরুর মাংস সাড়ে ৭০০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়।
তাই একটু কম দামে হোটেলের জন্য মাংস কিনতে তিনি এই হাটে এসে ২৫ কেজি কিনেছেন। গড়ে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা পড়েছে বলে জানান তিনি।