গোরকমণ্ডল সীমান্তের ৯২৯ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের ৪ নম্বর সাব-পিলারের পাশে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক হয়।
Published : 15 Feb 2025, 09:15 PM
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পাঁচ কৃষককে পেটানোর ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে।
শনিবার দুপুরে গোরকমণ্ডল সীমান্তের ৯২৯ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের ৪ নম্বর সাব-পিলারের পাশে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাকিল আলম এবং ভারতীয়-৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার অমিত কুমার নেতৃত্ব দেন।
বৈঠক শেষে বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাকিল আলম বলেন, “বৈঠকে বাংলাদেশে ঢুকে বাংলাদেশি কৃষকদেরকে মারপিটের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। জবাবে বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটানো এবং জড়িত বিএসএফ সদস্যদের শাস্তির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।”
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কৃষ্ণানন্দ বকসী সীমান্তের ৯৩০ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের ৮ নম্বর সাব-পিলারের পাশে বাংলাদেশের জমিতে কাজ করছিলেন কয়েকজন কৃষক। এ সময় ভারতীয় নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের ১০-১২ জন বিএসএফ সদস্য হরিদাস খামার এলাকার কাঁটাতারের বেড়ার ৩ নম্বর গেট দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে মাঠে কাজ করা কৃষকদের গালাগালি করতে থাকে।
কৃষকরা প্রতিবাদ করলে বিএসএফ সদস্যরা লাঠি দিয়ে কৃষকদের এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে। কৃষকরা ভয়ে গ্রামের দিকে দৌড়াতে থাকলে বিএসএফ তাদের পিছু নিয়ে গ্রামে ঢুকে পড়ে। পরে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে বিএসএফকে ধাওয়া করলে তারা কাঁটাতারের ভিতরে পালিয়ে যায়।
বিএসএফের মারপিটে পাঁচ কৃষক আহত হন। তারা হলেন- কৃষ্ণানন্দ বকসী গ্রামের মৃত ইসরাইলের ছেলে শামসুল হক (৫৫), মৃত খোকা মামুদের ছেলে জাবেদ আলী (৬০), মুন্নাফ হোসেনের ছেলে কাসেম আলী (৪৮), মৃত মুকুল ইসলামের ছেলে রিপন মিয়া (৩৫) এবং কাশেম আলীর ছেলে তাজুল ইসলাম (৩৮)।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের পতাকা বৈঠক শেষে বিজিবি ও বিএসএফের প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।