ঈদের দিন সাফারি পার্ক ঘুরতে এসেছিলেন মাত্র ৬০০ দর্শনার্থী, ঈদের দ্বিতীয় দিন সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল আড়াই হাজারের মতো।
Published : 02 Jul 2023, 06:02 PM
যে কোনো সরকারি ছুটির দিনেই দেশের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোয় থাকে উপচেপড়া ভিড়। বিশেষ করে ঈদের টানা বন্ধে পর্যটন কেন্দ্রগুলো থাকে লোকে লোকারণ্য।
তবে কোরবানি ঈদের বন্ধে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের দৃশ্য একেবারেই আলাদা। রীতিমতো পর্যটক সংকটে পড়েছে পার্কটি।
ঈদের দিন সাফারি পার্ক ঘুরতে এসেছিলেন মাত্র ৬০০ দর্শনার্থী। ঈদের দ্বিতীয় দিন সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল আড়াই হাজারের মতো। আর টানা ছুটির শেষ দিন শনিবার এসেছিলেন ২ হাজার ৯৫৭ দর্শনার্থী।
অথচ আড়াই মাস আগে রোজার ঈদের বন্ধে প্রতিদিনই ১৫-২০ হাজার দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখর ছিল গাজীপুরের এই বিনোদন কেন্দ্রটি। পার্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, মূলত বৃষ্টিই এই ‘দর্শনার্থী খরা’র কারণ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “বৃষ্টির কারণে কোরবানি ঈদের বন্ধে সাফারি পার্কে পর্যটকের সমাগম একেবারেই কম। অথচ গত রোজার ঈদের প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের প্রতিদিন পর্যটক সমাগম হয়েছে ১৫-১৬ হাজার। বছরের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পর্যটক সমাগমের মৌসুমে পর্যটক সংকটের কারণে রাজস্ব আয়ও কমে গেছে।”
টানা বৃষ্টির মধ্যেও ঈদের ছুটি উপভোগ করতে ব্যাক্তিগত গাড়ি করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সাফারি পার্কে এসেছিলেন ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের বাসিন্দা হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, “ছুটি শেষ হয়ে গেলে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকে, তখন যানজটে পড়তে হয়। তাই ঈদের ছুটির আমেজ শেষ হওয়ার আগেই স্ত্রী-সন্তানদের দিয়ে আনন্দ করতে এসেছি।”
প্রতি ঈদের ছুটিতেই কোথাও না কোথাও বেড়াতে যান বলে জানালেন নরসিংদীর নজরুল ইসলাম। এবারও কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে সাফারি পার্কে বেড়াতে এসেছেন তিনি।
বৃষ্টি হলেও নিজেদের মধ্যে আনন্দ ভাগাভাগি করতে সবাই মিলে নরসিংদী থেকে গাজীপুরে ছুটে এসেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “বৃষ্টির মধ্যে পর্যটক কম হওয়ায় লাইনে দাঁড়ানোর বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি। সাফারি পার্কের সব ইভেন্ট স্বস্তিতেই উপভোগ করতে পেরেছি।”
টাঙ্গাইলের নাগরপুর থেকে পরিবার নিয়ে সাফারি পার্কে এসেছেন মো. নান্না মিয়া।
তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে সাফারি পার্কে পর্যটক কম ছিল। বেশি ভিড় না থাকায় স্বাচ্ছন্দের সঙ্গে পার্কের বাঘ-সিংহ-ভালুক-হরিণ, জেব্রা-ময়ুর, ধনেশ, ম্যাকাও পাখিসহ সবকিছু দেখতে পেরেছি।”