এর মধ্যে মাদারীপুরের শিবচর ও সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের দুজন করে এবং নরসিংদীর রায়পুরায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
Published : 16 Apr 2024, 11:38 PM
সুনামগঞ্জ, মাদারীপুর ও নরসিংদীতে ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে মাদারীপুরের শিবচরে দুজন, নরসিংদীর রায়পুরায় একজন এবং সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন।
নিহতরা হলেন- মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বহেরাতলা উত্তর ইউনিয়নের সোতারপাড় এলাকার আকমল ঢালীর স্ত্রী শারমিন আক্তার (৩৫), শেখপুর এলাকার জেলাউদ্দিন মুন্সীর ছেলে রাশেদ মুন্সী (২৫), নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার হাতিরদিয়া এলাকার আলীম উদ্দিনের ছেলে পিকআপ চালক জাকির আলী (৪০), সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মধুরাপুর গ্রামের মৃত উকিল আলীর ছেলে মালেক নূর (৪৫) এবং কুলঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুন নূর (৪০)।
শিবচর থানার ওসি সুব্রত গোলদার বলেন, বিকালের দিকে ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় সোতারপাড়ের শারমিন আক্তার রান্নাঘর থেকে উঠোন পেরিয়ে বসতঘরে যাচ্ছিলেন। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
অন্যদিকে ক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে শেখপুর এলাকার রাশেদ মুন্সীর মৃত্যৃ হয়।
এদিকে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাব্বির আহমেদ তুহিন বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টায় ঝড়-বৃষ্টির সময় পিকআপ চালক জাকির আলী রাস্তার পাশে বসা ছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে তার ডান পাশ ঝলসে যায়। স্থানীয়রা তাকে প্রথমে বারৈচা বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে নরসিংদী সদর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবার জানায়, জাকির আলী মনোহরদী উপজেলার হাতিরদিয়া এলাকার বাসিন্দা। তবে তিনি প্রায় এক দশক ধরে রায়পুরার মরজাল ইউনিয়নের ব্রাহ্মণেরটেক এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। এবং মুরগির পিকআপ চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
সুনামগঞ্জের দিরাই থানার ওসি মোহাম্মদ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মধুরাপুর গ্রাম এবং কুলঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে বজ্রপাতে দুজন নিহত হয়েছেন।
কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একরাম হোসেন বলেন, আব্দুন নূর হাওর থেকে বাড়িতে ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
অপরদিকে ভাটিপাড়া ইউপি সদস্য এমদাদ চৌধুরী মিন্টু বলেন, মালেক নূর ধান মাড়াই করছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে হঠাৎ ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।