ওসি বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে৷
Published : 24 Apr 2024, 08:53 PM
নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাকসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেছেন তার স্ত্রী।
মাকসুদ বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং জাতীয় পার্টির জেলা কমিটির সহসভাপতি৷ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সম্প্রতি তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন৷
মঙ্গলবার তার দ্বিতীয় স্ত্রী সুলতানা বেগম নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত মামলা রেকর্ড করে বিষয়টি তদন্তের জন্য বন্দর থানাকে নির্দেশ দেন বলে বুধবার জানান আদালত পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান৷
বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, “আদালতের নির্দেশে বুধবার মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে৷ তদন্তের জন্য একজন কর্মকর্তাও নিয়োগ করা হয়েছে।”
মামলার নথি থেকে জানা যায়, মাকসুদ হোসেন ১৯৯৮ সালে সুলতানা বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। মাকসুদ আগে একটি বিয়ে করলেও সুলতানা তা জানতেন না।
বিয়ের দুই বছর পর মাকসুদ স্ত্রীকে পৈতৃক সম্পত্তির অংশ বিক্রি করে টাকা আনতে চাপ দেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকার করলে মাকসুদ তার স্ত্রী ও সন্তানকে শ্বশুরবাড়ি রেখে আসেন। তাদের সঙ্গে কদাচিৎ যোগাযোগ করেন।
এই অবস্থায় সুলতানা ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন।
ওই মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে জানিয়ে সুলতানা বলেন, এর মধ্যেই ২১ এপ্রিল তার স্বামী কয়েকজন বন্ধুসহ শ্বশুরবাড়িতে এসে আগের মামলাটি তুলে নেওয়ার হুমকি দেন। এতে তিনি ও তার মেয়ে প্রতিবাদ করলে তাদের মারধর করা হয়।
তবে, এ বিষয়ে যোগাযোগের জন্য মাকসুদ হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি৷ ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।
এখন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের কোনো উপজেলাতেই জাতীয় পার্টি দলীয়ভাবে কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
ফলে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠেয় ৮ মে’র নির্বাচনে জাতীয় পার্টির নেতা মাকসুদ হোসেন বন্দর উপজেলা থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। তার প্রতীক আনারস।