যশোরের সীমান্ত থেকে গত কয়েকদিনে পাঁচটি অভিযানে প্রায় ৩৯ কেজি সোনা উদ্ধার হলো।
Published : 21 Nov 2022, 06:24 PM
যশোরের শার্শা উপজেলার সীমান্ত থেকে আরও প্রায় আড়াই কেজি ওজনের ২০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে; যেগুলো ভারতে পাচার করা হচ্ছিল বলছে বিজিবি।
সোমবার সকালে নারকেলবাড়িয়া সীমান্ত এলাকায় এ অভিযান চালানো হয় বলে বিজিবি জানিয়েছে।
গত বুধবার থেকে অভিযানে যশোরের সীমান্ত এলাকা থেকে বড় আকারের সোনার চালান আটক হচ্ছে, যেগুলো ভারতে পাচার হচ্ছিল বলে বিজিবির ভাষ্য।
এই চালানসহ কয়েকদিনে প্রায় ৩৯ কেজি সোনা উদ্ধার হলো শুধু যশোরের সীমান্ত এলাকায়। এর আগে বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার সাড়ে ৩৬ কেজি সোনা উদ্ধার হয়।
অভিযান চলাকালে ওই সোনাসহ ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যাওয়া এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হলেও আটক করা যায়নি বলে বিজিবি জানিয়েছে।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী জানান, সকালে শার্শা উপজেলার নারকেলবাড়িয়া সীমান্তের মেইন পিলার নম্বর ২৯/০২ এস থেকে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের ভেতর একটি সরিষা ক্ষেত থেকে সোনার চালানটি আটক করা হয়।
শাহেদ মিনহাজ বলেন, ভারতে স্বর্ণ পাচারের গোপন সংবাদে শালকোনা বিওপির নায়েক শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টহলদল অভিযান চালায়।
“ওই সময় বিজিবির দল একটি আম বাগানে এক ব্যক্তিকে ব্যাগ হাতে সীমান্তের দিকে যেতে দেখে। পরবর্তীতে বিজিবি টহলদল তার চলাফেরা সন্দেহজনক মনে হলে তাকে চ্যালেঞ্জ করে; তখন পাচারকারি ব্যক্তি ব্যাগটি একটি সরিষা ক্ষেতে ফেলে ভারতের ওপারে পালিয়ে যায়।”
তিনি জানান, পরে ওই ব্যাগ তল্লাশি করে ২০টি সোনার বার পাওয়া যায়। আটক সোনার ওজন দুই কেজি ৩৩০ গ্রাম; যার আনুমানিক বাজার মূল্য দুই কোটি ১৭ লাখ ৮৫ হাজার ৫০০ টাকা।
“ওই ‘পাচারকারীকে’ চিহ্নিত করা গেলেও আটক করা সম্ভব হয়নি। তার নাম তারেকুল ইসলাম তারেক (৪০)। তিনি শার্শার শালকোনা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।”
এ ব্যাপারে শার্শা থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং ‘পাচারকারীকে’ আটকের জন্য অভিযান চলছে বলে জানান এই বিজিবি কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:
এবার যশোরের শাহাজাদপুর সীমান্তে জব্দ ৯ কেজি সোনা
বেনাপোল সীমান্তে আরও দেড় কেজি সোনা উদ্ধার