পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করেছে।
Published : 26 May 2024, 10:28 PM
গাজীপুরে ছুরিকাঘাতে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্কুলশিক্ষিকা খুন হয়েছেন; আটক হয়েছেন এক যুবক।
রোববার বিকালে মহানগরের দক্ষিণ সালনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর সদর থানার ওসি সৈয়দ রাফিউল করিম।
নিহত রোমানা আক্তার (২৮) বরিশাল সদর থানাধীন নয়ানী চরকাওয়া এলাকার আব্দুল মনসুরের মেয়ে ও একই জেলার বন্দর থানাধীন রায়পুরা গ্রামের হাসান হাওলাদারের স্ত্রী।
তিনি দক্ষিণ সালনা এলাকার মুন লাইট প্রি-ক্যাডেটঅ্যান্ড হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন। আর তার স্বামী একই এলাকার জেরিকো নামে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
ছুরিকাঘাতে সাবিনা (২২) নামে আরেক নারী আহত হয়েছেন। সাবিনা শেরপুর সদরের ধুপেরচর এলাকার হামিদুল ইসলামের মেয়ে ও আয়নাল হকের স্ত্রী।
আটক কায়েস রানা (২৭) সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি স্থানীয় এমবিএম নামে পোশাক কারখানার কর্মী।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর মহানগরের দক্ষিণ সালনা এলাকায় মন্ত্রীবাড়ি রোডের স্থানীয় গোলাম মোস্তফার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন হাসান ও তার স্ত্রী রোমানা।
স্থানীয়রা জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে রোববার বিকালে পাশের ভাড়াটিয়া সাবিনার সঙ্গে ভাড়াটিয়া কায়েস রানার ঝগড়া চলছিল। তাদের ঝগড়া থামাতে যান রোমানা আক্তার।
এক পর্যায়ে কায়েস রানা রোমানাকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই রোমানা মারা যান; গুরুতর আহত হন সাবিনা।
তাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কায়েস রানাকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহ আলম জানান, রোমানা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। একই বাড়ির ভাড়াটিয়া অবিবাহিত কায়েস রানার সঙ্গে ময়লা ফেলা নিয়ে সাবিনার দ্বন্দ্ব ছিল।
গাজীপুর সদর থানার ওসি সৈয়দ রাফিউল করিম বলেন, এ ঘটনায় কায়েস রানাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা ছুরিটি উদ্ধার করেছে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মরদেহের ময়নাতদন্তসহ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি রাফিউল করিম।