গাজীপুরে শিক্ষিকা হত্যার ৪ বছর পর ভাতিজা গ্রেপ্তার, জবানবন্দি

পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের কারণে শিক্ষিকাকে হত্যা করা হয় বলে জানান গাজীপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2023, 02:56 PM
Updated : 14 March 2023, 02:56 PM

গাজীপুরে শিক্ষিকা মমতাজ বেগম হত্যার চার বছর পর এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ; তিনি এরই মধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

রোববার গভীর রাত সাড়ে ৩টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন বাঘিয়া এলাকার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান।

গ্রেপ্তার উচ্ছাস সরকার (৩০) বাঘিয়ার দুলাল সরকারের ছেলে এবং শিক্ষিকা মমতাজ বেগমের ভাতিজা।

সোমবার বিকালে গাজীপুর মহানগর হাকিম আদালতে জবানবন্দি শেষে বিচারক ইকবাল হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মমতাজ বেগম রাজধানীর তেজগাঁও (পূর্ব নাখালপাড়া) এলাকার আওরঙ্গজেব খান দুলুর স্ত্রী এবং নাখালপাড়া হলি মডেল কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা ছিলেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, জমিজমা নিয়ে আলোচনার জন্য মমতাজ বেগম ২০১৯ সালের ১ মার্চ গাজীপুরের বাঘিয়া এলাকায় তার ভাই আব্দুর রশিদ সরকারের বাড়িতে আসেন। পরদিন বাঘিয়ার (ডিস পুকুর পাড়) জনৈক শফিউল্লাহর পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় শিক্ষিকার বড় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস মৌ অজ্ঞাতদের আসামি করে কোনাবাড়ী থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।

আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মমতাজ বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে তার মরদেহ পাশের মণ্ডলবাড়িতে রেখে ওই বাড়ির লোকদেরকে ফাঁসানোর চিন্তা করে আসামিরা। কারণ মণ্ডলবাড়ির সাধু হত্যা মামলার আসামি ছিলেন দুলাল ও রশিদ সরকারের পরিবারের লোকজন।

গাজীপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, “পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের কারণে শিক্ষিকাকে হত্যা করা হয়। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”