অভিযানে তাদের কাছ থেকে হেরোইন, আইস, ইয়াবা ও গাঁজাসহ মাদক বিক্রির আড়াই লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
Published : 21 Mar 2025, 07:27 PM
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে হেরোইন, আইস, ইয়াবা ও গাঁজাসহ নগদ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার গোয়ালী মান্দ্রা বেদে পল্লীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নেছার উদ্দিন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার মৌছামান্দ্র গ্রামের সামসুদ্দিন মোল্লার ছেলে মো. রাজন ইসলাম (২২), শাহজাহানের মেয়ে মোসা. ঝিনুক (২২), আহম্মদ আলীর স্ত্রী মোসা. সুমনা (৩৫), রোকন মণ্ডলের স্ত্রী ফারজানা আক্তার (৩৫), শ্রীনগরের মশদগাঁও গ্রামের প্রয়াত জামাল উদ্দিনের ছেলে ওমর ফারুক (৩৭), শ্রীনগরের বীরতারা গ্রামের প্রয়াত শেখ সিরাজের ছেলে মো. আকাশ (২৭). মৌছামান্দ্রার মো. রাশেদ হোসেনের ছেলে মো. নিরব (২০), শিবচর থানার মোল্লাকান্দি এলাকার মোসলেম মোল্লার ছেলে মো. রানা (২০), মৌছামান্দ্রার জিন্নাত আলীর ছেলে মো. এনামুল (৫৫), গোয়ালী মান্দ্রা পশ্চিম পাড়া এলাকার নুরহাত সাপুরিয়ার ছেলে মো. মাগরিব (২৪), খড়িয়া মাল পাড়ার প্রয়াত মাইন উদ্দিনের ছেলে মোয়াজ্জেম মাল (৫৫), দক্ষিণ শিমুলিয়া গ্রামের প্রয়াত আয়নাল শিকদারের ছেলে মো. রাকিব হোসেন (৩৪), শ্রীনগরের খোদাই বাড়ি এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে দুলাল বেপারী (২২), সিরাজদিখানের মালখানগর গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে মো. জুয়েল (৪৯), শ্রীনগরের পাটাভোগ এলাকার আলী আজমের ছেলে মো. আওলাদ হোসেন (২৬) এবং মৌছামান্দ্রার মাসুদ মোল্লার ছেলে মাহিন মোল্লা (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি তিনজন কিশোর।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের নামে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
বিকালে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানিয়েছে, বেদে পল্লীতে মাদকবিরোধী যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১০০ গ্রাম গাঁজা, ৭৩০টি ইয়াবা, চার গ্রাম আইস, ২৫ গ্রাম হেরোইন, ১২টি বাটন মোবাইল ফোন, ১৩টি স্মার্টফোনসহ মাদক বিক্রির দুই লাখ ৪২ হাজার ৭৭৩ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
ইউএনও নেছার উদ্দিন বলেন, বেদে পল্লীটি মাদক বেচা-কেনার আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। মাদক বেচা-কেনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চুরিও বেড়ে গেছে। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় আলোচনা করা হয়।
পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল ইমরানকে সঙ্গে নিয়ে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে বেদে পল্লীতে অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানান তিনি।
পর্যায়ক্রমে উপজেলার অন্য এলাকাতেও এ রকম অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ইউএনও নেছার উদ্দিন।