চলতি মৌসুমে প্রথম ২৫ অগাস্ট বাঁধের ১৬টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়।
Published : 02 Sep 2024, 08:52 PM
পাহাড়ি ঢল ও রাঙামাটিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় কাপ্তাই হ্রদের পানি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে হ্রদের পানি কমাতে এবার ৪ ফুট করে বাঁধের ১৬টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
রোববার থেকে দুই ফুট খোলা থাকলেও সোমবার সকালে তা আরও দুই ফুট বাড়ানো হয় বলে জানান কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের।
বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় কাপ্তাই হ্রদের পানি আবার বিপৎসীমায় পৌঁছেছে। পানি কমাতে বাঁধের ১৬টি জলকপাট সাড়ে তিন ফুট করে খুলে দেওয়া হয়। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৭৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ছে।
রোববার জলকপাট দুই ফুট খোলা থাকলেও হ্রদে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সাড়ে তিন ফুট করে জলকপাট খুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে হ্রদের পানির স্তর রয়েছে ১০৮ দশমিক ৭৪ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। হ্রদের সর্বোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল।
আবদুজ্জাহের বলেন, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চার ফুট করে গেইট খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রতি সেকেন্ডে ৭৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ছাড়া হচ্ছে ৩২ হাজার কিউসেক পানি।
এদিকে হ্রদের পানির স্তর আবার বেড়ে যাওয়ায় দুই সপ্তাহ ধরে দুর্ভোগে বেড়েছে নিম্নাঞ্চলে। রাঙামাটি সদর, লংগদু, নানিয়ারচর, বরকল, জুরাছড়িসহ অন্যান্য উপজেলার প্রায় ১৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
হ্রদের পানি না কমায় দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ; যাদের অনেকেই ত্রাণ পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, পানিবন্দি মানুষের জন্য ৯২ টন খাদ্য বরাদ্দ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বাঁধের পানি ছাড়া অব্যাহত রয়েছে। দুয়েকদিনের মধ্যে পানি কমবে, এমটা আশা করা হচ্ছে।
এর আগে ২৫ অগাস্ট সকালে ছয় ইঞ্চি করে বাঁধের ১৬টি জলকপাট খোলা হয়; যা দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে নয় হাজার কিউসেক পানি নির্গত হয়। ছয় ঘণ্টা খোলা রাখার পর দুপুরে জলকপাট বন্ধ করা হয়। পরে রাতে আবার খুলে দেওয়া হয়।
এরপর থেকে ক্রমাগত গেটের খুলে দেওয়ার উচ্চতা বাড়ানো হয়; যা সোমবার বিকালে চার ফুট উচ্চতায় গিয়ে ঠেকেছে।
আরও পড়ুন: