ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ী এলাকার বাসভবনে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
Published : 01 Apr 2025, 07:54 PM
প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর নিঃসন্দেহে অন্তর্বর্তী সরকারের একটা বড় সাফল্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, “কারণ, এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এক তরফাভাবে চীনের সঙ্গে একটা দলের সম্পর্ক গড়ে ওঠেছিল। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চীন তার চিন্তা-ভাবনাগুলো পরিবর্তন করেছে। চীন এখন প্রায় সবগুলো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথাবার্তা বলছে।”
ঈদের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ী এলাকার বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এরপর তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। একে একে ঠাকুরগাঁও জেলা, উপজেলা, পৌর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা তো সরকারপ্রধান। সরকারপ্রধান মানে তো বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বই তিনি করেন। চীন যেহেতু অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী একটি দেশ এবং অর্থনৈতিকভাবে চীন দ্বিতীয় পর্যায়ে আছে যুক্তরাষ্ট্রের পরে; বাংলাদেশে চীনের যে বিনিয়োগ সেটাও তো অনেক বেশি। চীন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তারা আগামী দিনগুলোতে উৎপাদন ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করবে।”
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে মন্তব্য করে বিএনপি নেতা বলেন, “তারা রাষ্ট্র ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তনের জন্য কিছু সংস্কার কর্মসূচি সামনে নিয়ে এসেছেন এবং সংস্কার কমিশন তৈরি করেছেন। সেই সংস্কারের প্রস্তাবগুলো আমরা যথাযথভাবে পর্যালোচনা করেছি, পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করেছি। আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে যে মন্তব্য-মতামত সেটা সংস্কার কমিশনগুলোকে দিয়েছি। এটা নিয়ে তারা আগামী দিনগুলোতে আমাদের সঙ্গে বসবেন এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও বসবেন।
“যেসব সংস্কারের বিষয়ে ঐক্য হবে সেগুলো সামনে নিয়ে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের আগে সেটাতে রাজনৈতিক দলগুলো স্বাক্ষর করবে। যারা নির্বাচিত হবেন তারা সেই সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করবেন। এই হলো বর্তমান রাজনৈতিক একটা বোঝাপড়া।”
এ সময় বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি ঈদের দিনেও হয়েছে। আর সংস্কার ও নির্বাচন আলাদা জিনিস। সংস্কার সংস্কারের মত করে চলবে আর নির্বাচন নির্বাচনের মত চলবে।
“রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক করা। আমরা ৩১ দফার ওপরে এই কাজগুলো করেছি সারাদেশে। আমরা জনগণকে সম্পৃক্ত করেছি, জনগণকে বুঝিয়েছি।”
এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ উপস্থিত ছিলেন।