ভোলার লালমোহন উপজেলায় সহপাঠীর বাবার পকেট থেকে টাকা চুরির অপবাদে ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে ওই শিশু ও তার মায়ের অভিযাগ।
শিশুটিকে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এই শিক্ষার্থী উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ১ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র এবং ওই গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগের মুখে থাকা বাহার একই গ্রামের বাসিন্দা।
ওই শিশু শিক্ষার্থী জানায়, মঙ্গলবার সকালে তার সহপাঠী তাকে খেলাধুলার কথা বলে বাড়ি থেকে তাদের বাড়িতে ডেকে নেয়। খেলাধুলার এক পর্যায়ে সহপাঠীর বাবার পকেট থেকে পাঁচশ টাকা চুরি হয়েছে এমন অভিযোগে তাকে সন্দেহ করা হয়। কিন্তু সে চুরি করেনি বলে জানায়।
“এক পর্যায়ে বন্ধুর বাবা বাহার জোরপূর্বক আমাকে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে মারে। আমার পিঠ লাল হয়ে গেছে।”
খবর পেয়ে তার মা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে বাহার বলেন, ওই মিশু তার ছেলের সহপাঠী। তারা তার ঘরে হাঁটাচলা করেছিল। তার শার্টের পকেটে আটশ টাকা ছিল। সেখান থেকে পাঁচশ টাকা চুরি হয়। ঘরে তারা ছাড়া অন্য কোনো লোক আসেনি।
“আমার সন্দেহ ওই ছেলেই পাঁচশ টাকা চুরি করেছে; যার জন্য তাকে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মেরেছি।”
এমন মারধরের পরও তার কাছ থেকে চুরি হওয়া টাকা পাওয়া যায়নি বলে বাহার জানান।
নির্যাতনের শিকার শিশুটির মায়ের অভিযোগ, টাকা চুরির ‘মিথ্যা অপবাদে’ বাহার তার শিশু সন্তানকে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্মম নির্যাতন করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
লালমোহন থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ওই শিশুর মা থানায় গিয়ে তাকে (ওসি) ঘটনাটি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।