ঝড়ে হাতিয়া উপজেলার প্রায় ২০ শতাংশ পাকা ধান হেলে পড়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
Published : 17 Nov 2023, 05:57 PM
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া ঝড়ে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে বিচ্ছিন্ন রয়েছে সংযোগ।
দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক গাছ উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। অনেক স্থানে ঘরবাড়িও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া হেলে পড়েছে পাকা ধান।
জেলা শহরের বাসিন্দা আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, ঝড়ে গাছ পড়ে সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎও নেই। বিষয়টি বিদ্যুৎ বিভাগকে জানানো হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলার কৃষক কেফায়েত হোসেন বলেন, “এবার আমন ধানের ফলন ভাল হলেও সব ধান ঘরে তুলতে পারিনি। আজকের ঝড়ে অনেক ধান হেলে পড়েছে। এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে।”
হাতিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল বাসেদ সবুজ বলেন, “প্রায় ২০ শতাংশ আমন ধান হেলে পড়েছে। শীতকালীন সবজিরও ক্ষতি হতে পারে। তবে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য জানতে সময় লাগবে।”
বিকাল ৫টায় নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন বলেন, “প্রচুর বাতাস হচ্ছে। কর্মীরা ঘটনাস্থলে যেতে পারছেন না। বাতাস কমলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, ঝড়ে যেসব স্থানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার তালিকা সংগ্রহ চলছে। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা জানানো হবে।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ২৪ লাখ টাকা এবং ৪৭৯ টন চাল বিতরণের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রায় নয় হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন।
এ ছাড়া ১০২টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে; সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।