“আমার আরেক ভাইয়ের অবস্থাও খুব খারাপ, মনে হয় সেও বাঁচবে না।”
Published : 08 Aug 2024, 01:00 PM
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার ভাইসহ আহত হয়েছেন ১৫ জন। লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ১৫টি বাড়িতে।
বুধবার রাতে ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরকুমারীয়া ইউনিয়নের গনি মোল্লার কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নিহতের ভাই ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সিরাজ মোল্লা।
নিহত মো. ফারুক মোল্লা (৪৫) ওই এলাকার আব্দুল হাই মোল্লার ছেলে ও চর কুমারিয়া ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি।
নিহতের ছোট ভাই মামুন মোল্লা ও তার ছেলে মহসিন মোল্লা বলেন, স্থানীয় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে তাদের বসতবাড়িতে হামলা চালায়।
তারা বাড়িতে ঢুকে ফারুক মোল্লা, তার ছোট ভাই ফরহাদ মোল্লা, সুরুজ মোল্লা, আয়শা বেগম, পান্না আক্তার, মিজান মোল্লা ও বাবুল মোল্লাসহ ১৫জনকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।
এরপর দুর্বৃত্তরা তাদের বাড়িতে লুটপাট ও ভাঙচুর করে করে ১৫টি বসতঘরে আগুন দিয়ে চলে যায়।
আহতদেরক উদ্ধার করে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আনিকা বলেন, “স্বজনরা মো. ফারুক মোল্লাকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে এসেছিল। তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। “
এছাড়া তার ভাই ফরহাদ মোল্লাকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের ভাই ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজ মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, “আমরা রাজনীতি করার সময় কারো কোনো ক্ষতি করিনি। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের লোক আমার ভাইকে মেরে ফেললো। স্থানীয় সম্রাট মোল্লা, অশ্রু, অনিক মোল্লা, মনির মোল্লা- ওরা আমার ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়া কোপাইছে।
“আমার আরেক ভাইয়ের অবস্থাও খুব খারাপ, মনে হয় সেও বাঁচবে না। ওরা আমাগো বাড়িঘর সব লুটপাট করে জ্বালাই দিছে। আমরা ওগো বিচার চাই।”