উপাচার্য বলেন, “এবার যারা এইচএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছে তাদেরই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।”
Published : 16 Nov 2024, 09:56 PM
শিক্ষা এবং ডিগ্রির মান উন্নয়নে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে অধিভুক্ত সব প্রতিষ্ঠানে স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে ভর্তিতে লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ্ বলেন, “এবার যারা এইচএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছে তাদেরই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।”
শনিবার সকালে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় ছয়টি কলেজের ছাত্র-শিক্ষক এবং স্থানীয় সুধীজনদের অংশগ্রহণে গুণগত শিক্ষা এবং ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক উন্নয়নে আয়োজিত এক সমাবেশের উপাচার্য এ তথ্য জানান।
এতদিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি করা হত।
সমাবেশে উপাচার্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির মান উন্নয়নে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া লিংক উন্নয়নে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস সংস্কারের রূপরেখার কথা বলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সম্মান শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য আইসিটি এবং অন্যান্য সংক্ষিপ্ত টেকনিক্যাল কোর্সের প্রস্তাব করেন।
২০২৫ সালকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘পরীক্ষাবর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যে দ্রুত গতিতে থেমে থাকা পরীক্ষাগুলো আয়োজন করছে তাতে আগামী বৎসরের নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ সেশন জট প্রায় ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা তাহমিনা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপাচার্য বলেন, জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিহত প্রতিটি শহীদ পরিবারকে তিন লাখ টাকা অনুদান হিসেবে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হাছানাত আলী এবং বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার জেদান আল মূসা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক বদরুজ্জামান রাতে বলেন, ২০০০ সালের দিকে যখন অধ্যাপক আব্দুল মমিন চৌধুরী উপাচার্য ছিলেন তখন এমসিকিউ পদ্ধতিতে ভর্তি করা হত। তখন বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলো নিজেরা আলাদাভাবে এই পরীক্ষা নিয়ে ভর্তি করত। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর উপাচার্য হন অধ্যাপক হারুন অর রশিদ। তিনি এমসিকিউ পদ্ধতি বাদ দেন এবং নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তির প্রক্রিয়া চালু করেন।