মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং মামলার অন্য একটি ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রায়ে।
Published : 26 May 2024, 06:44 PM
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় সাবেক স্ত্রীকে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রোববার চাঁদপুরের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাহেদুল করিম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মজিবুর রহমান ভূঁইয়া জানান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. হযরত আলী (৩০) ওই উপজেলার কীর্তনখোলা গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে।
মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং মামলার অন্য একটি ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রায়ে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে মিতু আক্তারের (২১) সঙ্গে ২০১৩ সালে হযরত আলীর মোবাইল ফোনে পরিচয় সূত্রে প্রেমের সম্পর্ক হয়। ওই বছরই তারা বিয়ে করেন। এরপর শ্বশুরবাড়ি গিয়ে নির্যাতনের শিকার হন মিতু। পরে ২০১৬ সালের ২৫ জুন মিতু ও হযরত আলীর ছাড়াছাড়ি হয়।
এর মধ্যে হযরত আলী প্রবাসে চলে যান কিন্তু মিতুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখেন।
২০১৭ সালের জুনে দেশে ফেরেন আলী। ২৩ জুলাই মিতুকে নিয়ে চাঁদপুর শহরে বেড়াতে যান সাবেক স্বামী হযরত আলী।
বেড়ানো শেষে মিতুকে বাড়িয়ে দিয়ে যান আলী। ওইদিন রাতেই হযরত আলী ও তার বন্ধুরা মিতুদের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাওয়ার কথা বলেন।
মামলার নথিতে আরও বলা হয়, রাত ৯টার দিকে হযরত আলী ফোনে মিতুকে তাদের বাড়ির সামনে থেকে বন্ধুদের এগিয়ে নিতে বলেন। মিতু তার সাবেক স্বামীর বন্ধুদের এগিয়ে আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন।
মেয়ে ঘরে ফিরছে না দেখে এগিয়ে গিয়ে এলাকার আবদুর রহমানের ঘরের দক্ষিণে পুকুর পাড়ে মিতুর গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান মা রাবেয়া বেগম। তখন তিনি চিৎকার করেন এবং লোকজন এগিয়ে এসে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করেন।
এ ঘটনার পরদিন ২৪ জুলাই হযরত আলীকে আসামি করে হাজীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন মা রাবেয়া বেগম । পুলিশ আসামীকে হযরত আলীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেন।
মামলাটি থানা আমলে নিয়ে তদন্ত করার দায়িত্ব দেন তৎকালীন হাজীগঞ্জ থানার এসআই মো. জসিম উদ্দিনকে। তিনি তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে রোববার এ রায় দেয়।