“২০২৪ সালে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছি।”
Published : 18 Sep 2024, 09:31 PM
ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ না থাকলে ফ্যাসিস্ট সরকার আবারও হামলা করবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
তিনি বলেছেন, “আমরা বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারকে হটানোর জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আদলে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতাদর্শে অসংখ্যবার কর্মসূচি দিয়েছি। কিন্তু কখনও সফল হতে পারিনি। কারণ বিগত ১৬ বছরে এই বাংলাদেশের ছাত্র জনতা কখনও ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি।
“কিন্তু এই ২০২৪ সালে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান আমাদের এমন একটি সুযোগ করে দিয়েছে। যে অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছি।”
বুধবার বিকালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ মাঠে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সমন্বয়ক সারজিস বলেন, “যে অভ্যুত্থানে শুধু ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বাদে সব রাজনৈতিক দলের, মতের, ধর্মের, বয়সের, আদর্শের মানুষ এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অংশগ্রহণ করেছে এবং ওই ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে পদত্যাগ করিয়ে, পতন ঘটিয়ে এ দেশ থেকে ছাড়া করেছে।
“এ ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করেই আমাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তা না হলে ওই ফ্যাসিস্ট সরকার আবার অন্য কোন রুপে দেশের কিংবা দেশের বাইরে তার যেসব মিত্র রয়েছে, তাদের নিয়ে আমাদের উপর আবার হামলা করতে আসবে।”
আমরা কি চাই আবার সেই ফ্যাসিস্ট সরকার ফিরে আসুক? সভায় প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন,“যেভাবে ১৬ বছর আমাদের উপর নির্যাতন অত্যাচার চালিয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়েছে। হয়রানি করেছে কোর্টে ঘুরিয়েছে। থানা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের যত স্থাপনা রয়েছে ভূমি অফিস, হাসপাতালসহ প্রত্যেকটি জায়গায় টাকার সিন্ডিকেট কায়েম করেছে। বাংলাদেশে জনতার দ্বারা নির্বাচিত সরকার গঠন হওয়ায় আগে পর্যন্ত সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
গত ১৬ বছরে যে সিস্টেমটি তৈরি হয়েছিল তা ১৬ মাসে বাংলাদেশ থেকে উৎপাটন হবে না বলেও মন্তব্য করেছেন সমন্বয়ক সারজিস।
ফ্যাসিবাদ সরকারের ঘুষ-দুর্নীতির সিন্ডিকেটে আর ফিরে যেতে চান না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “সেই জাগায় আমরা প্রথম স্তরটির কাজ শুরু করেছি। এ আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে, যারা হামলা আহত হয়েছে-তাদের সে সকল বিষয়ের বিচার করতে হবে।”
সভায় সমন্বয়ক আবদুল্লাহ সালেহীন অয়ন, সমন্বয়ক সামিয়া মাসুদ মুমু, সমন্বয়ক মুবাশ্বিরুজ্জামান হাসান মৃধা, সমন্বয়ক আব্দুর রহমান, মো. হৃদয় হোসেন, শ্যামলি সুলতানা জেদনী, তাসনিমুল আলম কাজী ইসমাইল হোসেন রুদ্র, সাব্বির রহমান, নাঈমুল ইসলাম ও ইমাম হাসান বক্তব্য দেন।