‘দেশকে খুঁজি বিদেশের মাটিতে’ স্লোগানে এ আয়োজন করে প্রবাসীরা।
Published : 31 Oct 2023, 11:30 AM
বিশ্বের অন্যতম জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদক দেশ নরওয়ে। অনেক তেল কোম্পানির প্রধান কার্যালয় দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকা স্টাভাঙ্গার ও তার আশপাশে। তাই স্টাভাঙ্গারকে নরওয়ের ‘অয়েল ক্যাপিটাল’ বলা হয়ে থাকে। এখানে বসবাসকারী বেশিরভাগ লোকজনও তেল কোম্পানিতে চাকরি করে।
১৭-১৮ বছর আগেও আমরা এখানে ছিলাম হাতেগোনা এক-দুটি বাংলাদেশি পরিবার। ধীরে ধীরে এই সংখ্যা বেড়েছে। প্রতি বছর অনেক বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী পড়তে আসছে। পড়াশোনা শেষে ভালো রেজাল্ট থাকলে চাকরিও পেয়ে যাচ্ছে। মেধা ও দক্ষতার গুণে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি কর্মক্ষেত্রে খুব ভালো অবস্থানে আছে।
যাই হোক, বিচ্ছিন্নভাবে কয়েক বছর কমিউনিটি হল ভাড়া করে সবাই মিলে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করলেও করোনাভাইরাস মহামারী পরবর্তী সময়ে তাতে ভাটা পড়ে। সব বাংলাদেশিরাই এখানে একটা নিজ দেশের কমিউনিটি সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে আসছিলো।
অবশেষে সেই প্রতীক্ষার পালা শেষ হলো। স্টাভাঙ্গার ও তার আশপাশে বসবাসকারী সব বাংলাদেশিদের নিয়ে 'বাংলাদেশ সোসাইটি অব রোগাল্যান্ড’ (বিএসআর) গঠিত হলো। স্টাভাঙ্গার ও তার আশপাশের বৃহত্তর এলাকাকে নরওয়ের রোগাল্যান্ড কাউন্টি বলে।
‘বাংলাদেশ সোসাইটি অব রোগাল্যান্ডের’ (বিএসআর) প্রথম আয়োজন ছিল শরৎ উৎসব। ‘দেশকে খুঁজি বিদেশের মাটিতে’ স্লোগানে ১৫ অক্টোবর স্টাভাঙ্গার সুন্দে কিরনেভিক কমিউনিটি সেন্টারে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
স্বভাবতই অনুষ্ঠান ঘিরে এখানের বাংলাদেশিদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা যায়। আয়োজনে ছিলেন গোলাম রাব্বানী, দিপংকর চৌধুরী, নাসরীন বানু টিনা ও ঋতুপর্ণা পাল পায়েল।
স্টাভাঙ্গারের মেয়র কারি নেসা নরটুন বিএসআরের সাফল্য কামনা করে শুভেচ্ছা বাণী পাঠান। ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বাংলাদেশি খাবারের আয়োজন। গান, কবিতা, পিয়ানো, বাঁশি, নাটিকা, শিশুনৃত্য, গেসিং গেম,র্যাফেল ড্র- কি ছিল না সেই অনুষ্ঠানে! আর খাওয়াও ছিল যেন বিয়েবাড়ির ভোজ।
এখানেই শেষ নয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য ছিলো উপহার বই আর স্টাভাঙ্গার মিউজিয়ামের টিকেট। সবাই মিলে অনেক দিন পর উপভোগ্য একটা সময় পার হলো।