‘প্রায় ১৫ লাখ প্রবাসীকে সেবা দেওয়া হচ্ছে মিশনের ৬০-৭০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে।’
Published : 10 Jan 2025, 12:58 PM
মালয়েশিয়ায় হাই কমিশনের পাশাপাশি বাংলাদেশি অধ্যুষিত বিভিন্ন রাজ্যে কনস্যুলেট স্থাপনের মাধ্যমে সেবা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন প্রবাসীরা।
বুধবার সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং-এ বাংলাদেশ কমিউনিটি প্রেস ক্লাব মালয়েশিয়ার এক আলোচনা সভায় এ দাবি তুলে ধরেন তারা।
বক্তারা বলেন, “বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। প্রায় ১৫ লাখ প্রবাসীর এ বাজারে সেবা দেওয়া হচ্ছে কেবল কুয়ালালামপুরে অবস্থিত হাই কমিশনের ৬০ থেকে ৭০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দিয়ে। কনস্যুলেটের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন অন্যান্য অঞ্চলের প্রবাসীরা। এ অবস্থায় পেনাং, জহুর ও পাহাংসহ বাংলাদেশি অধ্যুষিত রাজ্যগুলোতে কনস্যুলেট স্থাপন করলে প্রবাসীরা উপকৃত হবেন।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়ার মালয়েশিয়ায় আসা উপলক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কমিউনিটি প্রেস ক্লাব মালয়েশিয়ার সভাপতি মোস্তফা ইমরান রাজু, পরিচালনা করেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম হিরন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) বার্তা সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া বলেন, “৫ অগাস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে প্রবাসীদের দারুণ ভূমিকা রয়েছে। মুখে মুখে নয়, প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ অন্যান্য সেবাপ্রাপ্তি সহজ করার জন্য সরকারের দায় রয়েছে।”
আইয়ুব ভূঁইয়া বলেন, “গত ১৫ বছরে সাংবাদিকতাকে জাদুঘরে পাঠানো হয়েছিলো। সেই পরিস্থিতি থেকে দেশ ও প্রবাসের সব সাংবাদিকদের বেরিয়ে আসার আহ্বান জানাই। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে যারা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলো, তাদের অবস্থান এখন কাশিমপুর কারাগারে।”
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, তালহা মাহমুদ, মির্জা সালাউদ্দিন, আব্দুর রহমান, কমিউনিটি প্রেস ক্লাবের জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম রতন, সহ সভাপতি রফিক আহমদ খান, সাবেক প্রচার সম্পাদক খন্দকার মোস্তাক আহমেদ রয়েল, সদস্য আশরাফুল মামুন ও ছাত্র প্রতিনিধি বশির ইবনে জাফর।
কমিউনিটি প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক বাপ্পী কুমার দাসের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন মো. জাবেদ ও মইনুল ইসলাম তুন। উপস্থিত ছিলেন কাজী সালাউদ্দিন, নুরে সিদ্দীকী সুমন, মোহাম্মদ আরিফ ও আসাদুজ্জামান খান মাসুম।