হোম
+
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পাশাপাশি নির্বাচনের আগে পরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এবং সংঘাত যাতে এড়ানো যায় সেই ব্যাপারে জোর দিয়েছেন আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
Published : 20 Dec 2018, 11:42 PM
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া লেগে সুদূর আমিরাতেও। সেখানেও প্রতিটি আড্ডায় এখন নির্বাচনের উত্তাপ। বাক্ বিতণ্ডা যাই হোক, প্রবাসীরা চান দেশটা ভাল থাকুক, একটা ভাল নির্বাচন হোক, নির্বাচিত সরকার প্রবাসীদের স্বার্থে আরো নিবিড়ভাবে কাজ করুক।
নির্বাচন নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আমিরাত প্রতিনিধি মুখোমুখি হয়েছিলেন দেশটিতে বসবাসরত নানা শ্রেণি-পেশার প্রবাসীদের সাথে।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। তবে নির্বাচনের আগে ও পরে যে সংঘাত, সংখ্যালঘুদের উপর যে আক্রমন হয় তা আমায় ভাবায়। উৎসবমুখর পরিবেশে সংঘাত বা ভায়োলেন্সমুক্ত নির্বাচন হবে, সবাই নির্ভয়ে যেতে পরবেন এমনটাই আমরা চাই। তার পাশাপাশি এ কথাও মনে হয় আসলে নির্বাচন হলেই কী সংঘাত বন্ধ হয়ে যাবে? ঘুষ দুর্নীতি বন্ধ হবে? আইনের সঠিক ও নিরপেক্ষ প্রয়োগ হবে? এ বিষয়গুলোর দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে।
আমরা আশা করি এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে। নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম অন্তত তাই বলছে। সরকারও এ ব্যাপারে যথেষ্ট ইতিবাচক বলে আমরা মনে করি। আগামী নির্বাচনে জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।
আগামী নির্বাচন গণতন্ত্র উদ্ধারের নির্বাচন। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো। দেশে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে আপামর দেশবাসী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অধীনে ধানের শীষে ভোট দেবেন বলে আমরা আশাবাদী।
সবার অংশগ্রহণে আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এটা আমাদের জন্য সুসংবাদ। তবে এবারের নির্বাচনে স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ ছাড়াও সত্য ও মিথ্যার ইস্যুটাও চলে এসেছে। আমরা মনে করি, সত্যের জয় হবে। নতুন বছরে নতুন সূর্যোদয় ছিনিয়ে আনবে আওয়ামী লীগ। আমরা এক কোটির বেশি প্রবাসী রয়েছি, আমাদের উপর নির্ভরশীল আরও ৫ কোটি মানুষ। আমাদেরকে কেবল ‘সোনার মানুষ’ বলা হয়, কিন্তু আমরা আজও ভোটাধিকার পাইনি, আমাদেরকে সেই অধিকার দেওয়া হোক। আগামীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ প্রতিটি নির্বাচনে আমরা অংশ নিতে চাই।
উন্নয়নের যেহেতু কোনও বিকল্প নেই, তাই নৌকারও কোনও বিকল্প নেই বলে আমি মনে করি। আমরা আশা করি এবারও আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত হয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবে, সোনার বাংলা বিনির্মাণের অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করবে।
সবার জন্য যেন ভোট দেওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ থাকে, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন হয় এবার, আমরা তা চাই। নারী পুরুষ সবাই যেন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে পারেন আমরা তা চাইবো। যেকোনও সহিংসতা যেন পরিহার করা যায় সেটা চাই। অবশ্য এতে সরকার ও সরকারের বাইরে সবার দায়িত্ব রয়েছে।
শান্তিপূর্ণ, মিথ্যা প্রপাগান্ডা ও পেশিশক্তির ব্যবহারমুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচন চাই- একইসাথে প্রবাসীদের জন্য ভোটধিকার প্রয়োগের সুবিধার-প্রত্যাশী।
নির্বাচন জনপ্রতিনিধিত্বমূলক হবে তখনই যখন মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে মূলত জনগণ তার গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রবেশ করে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহনসহ সর্বক্ষেত্রে ১০০ ভাগ মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সবচেয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষের জীবনযাত্রার মান ধরে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে, এরকম হাজারো প্রত্যাশা আমাদের। তবে আমরা আশা করি অন্তত যে ইশতেহার দিয়ে দলগুলোর ভোট চাইলেন সেই ইস্তেহার যেন তারা বাস্তবায়ন করেন।
যেখানেই থাকি না কেন হৃদয়ের মাঝে সর্বদা ধারণ করে চলেছি এক টুকরো বাংলাদেশ। আসন্ন নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হোক এটা আমাদের সবার প্রত্যাশা। একই সাথে চাইবো প্রবাসীদের ভোটাধিকার বাস্তবায়নের সুযোগ তৈরি হোক। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক সবক্ষেত্রে। দেশ ও দেশের বাইরে সম্মানজনক অবস্থান তৈরিতে সমর্থ হোক।
সকল দলের অংশগ্রহণের ফলে এবারের নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে যে দল সরকার গঠন করবে প্রবাসী হিসাবে তাদের কাছে আমাদের চাওয়াটাও অনেক। আমি মনে করি সন্ত্রাসবাদ ও দুর্নীতি এ দুটি যদি দমন করা যায় তবে বাকি সমস্যা গুলো এমনই ঠিক হয়ে যাবে।
আমরা চাই যারাই সরকার গঠন করুক তারা পূর্ববর্তী সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যেন অব্যাহত রাখে যা দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভোট আমাদের নাগরিক অধিকার, সবাইকে অনুরোধ ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন আপনাদের স্বার্থে। কারণ যোগ্য নেতৃত্বই পারে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
| প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |
