গালফের সবচেয়ে ছোট দেশ বাহরাইন। চারদিকে সমুদ্রঘেরা আর প্রাচীন সব স্থাপনা নিয়ে এ দেশটিতে রয়েছে পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ।
Published : 20 Jul 2017, 11:37 AM
নয়নাভিরাম সৌন্দর্য আর দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যে ভরা আল-ফাতেহ গ্র্যান্ড মসজিদটি রাজধানী মানামায় অবস্থিত বাহরাইনের সবচেয়ে বড় মসজিদ।
১৯৮৭ সালে শেখ ইসা ইবন সালমান আল খলিফা মসজিদটি তৈরি করেছিলেন। বাহরাইন বিজয়ী আহমেদ আল ফাতেহ-এর নামানুসারে এই মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে।
বাহরাইনের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মানামায় যেতে সমুদ্রের পাশেই চোখে পড়বে নয়নাভিরাম গম্বুজবিশিষ্ট বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এ মসজিদটি। বাদশাহ ফয়সল হাইওয়ের পরে মানামার জুফেরে মসজিদটির অবস্থান। এর ভেতরে ঢুকতেই রাস্তার দু’পাশে চোখে পড়বে মরুভূমির ঐতিহ্য খেঁজুর বাগান, উত্তর পাশে জাতীয় গ্রন্থাগার ‘ইসা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’ ও পূর্বে ‘ধর্ম মন্ত্রণালয়’।
ভারতের সেগুন কাঠের কারুকার্য খচিত টেকসই দরজাগুলো মসজিদের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে। ফাইবার গ্লাস দিয়ে নির্মিত গম্বুজগুলো মসজিদকে দিয়েছে স্বাতন্ত্র্য। ফাইবার গ্লাস হলো কাচের তৈরি সূক্ষ্ম ও শক্তিশালী তন্তুর সমন্বয়। এটি ব্যবহার হয়ে থাকে তাপ এবং বিদ্যুৎ নিরোধক হিসেবে ও বিভিন্ন পলিমারকে শক্তিশালী করার কাজে।
এর মেঝেতে ইটালিয়ান মার্বেল ব্যবহার করা হয়েছে। অস্ট্রিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছে ঝলমলে ঝাড়বাতিগুলো। দেওয়ালে খচিত রয়েছে প্রাচীন নির্মাণশৈলীর ‘কুফিক’ ক্যালিগ্রাফি যা ভেতরের পরিবেশকে করেছে মনোমুগ্ধকর। এসব ক্যালিগ্রাফি সাজানো হয়েছে কুরআন এবং হাদিসের বাণী দিয়ে।
মানামায় অবস্থিত এ মসজিদই বাহরাইনের অন্যতম জ্ঞানচর্চা কেন্দ্র। ২০০৬ সালে এ মসজিদের গ্রন্থাগারটিকে বাহরাইনের জাতীয় গ্রন্থাগার করা হয়। গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা প্রায় সাত হাজার। এখানে শতাধিক বছরের পুরনো অনেক মূল্যবান বই, ইসলামিক ম্যাগাজিন ও পত্রিকা আছে।
ইবাদাত ও জ্ঞানচর্চার পাশাপাশি এ মসজিদটির সৌন্দর্য উপভোগের জন্য দেশ বিদেশের বহু পর্যটক ছুটে আসে। এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের প্রায় সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ এটি পরিদর্শনের জন্য আসে।
লেখক: প্রবাসী বাংলাদেশি, ব্যাংক কর্মকর্তা
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |