যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে রিয়েল এস্টেট ব্রোকার জাকির খানের ঘাতকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
Published : 19 Jun 2017, 10:55 AM
আগামী ২২ জুন বৃহস্পতিবার ব্রঙ্কসে সুপ্রিম কোর্টের সামনে এ প্রতিবাদ কর্মসূচির পালন করা হবে।
স্থানীয় সময় রোববার ‘ইউনাইটেড বাংলাদেশি ফর জাকির এ খান’ নামে একটি ব্যানারে জ্যাকসন হাইটসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানানো হয়।
এ সময় সেখানে জাকির খানের বড়ভাই নাদির খানও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ব্রঙ্কসে আক্রান্ত প্রায় সবকটি ঘটনার দুর্বৃত্তরা গ্রেফতার হয়েছে। হেইট ক্রাইমের ভিকটিমরা যদি সাথে সাথে পুলিশকে সবকিছু খুলে বলেন, তাহলে দুর্বৃত্তদের শাস্তি নিশ্চিত করা সহজ হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ভিকটিম তথা আক্রান্তরা পুলিশের কাছে বলেন এক কথা, কম্যুনিটি অথবা আত্মীয়-স্বজনকে বলেন ভিন্ন কথা। এর ফলে তদন্ত কর্মকর্তারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন।
সম্মেলনে আরও বলা হয়, সর্বশেষ কামালউদ্দিন (৩৯) নামে বাংলাদেশি এক ইমাম ১৫ জুন ব্রঙ্কসের ক্যাসেলহিল ইউনিয়ন পোর্ট এলাকায় ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক হামলার শিকার হলেও পুলিশকে তাৎক্ষণিকভাবে তা অবহিত করেননি। পরবর্তীতে তিনি বলেছেন পরিচিতজনদের কাছে। কামালউদ্দিনকে জ্যাকবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ‘ফোন্স ক্লাব’ নামে একটি স্টোরের সিসিটিভি দেখে দুই দুর্বৃত্তকে পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছে। এ ধরনের হামলা প্রায়ই ঘটছে বলেও উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি নিজ বাসার সামনে তাহা মেহরান (৫১) নামে এক পাকিস্তানির ছুরিকাঘাতে খুন হন জাকির খান। ওই পাকিস্তানি নিজেই পুলিশ স্টেশনে গিয়ে আত্মসমর্পণকালে জানিয়েছেন যে, ৯-১০ মাস যাবত বাড়ির ভাড়া না পেয়ে তিনি ভাড়াটিয়া জাকিরকে হত্যা করতে বাধ্য হন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে ‘ইউনাইটেড বাংলাদেশি ফর জাকির এ খান’-এর প্রধান সমন্বয়কারী আইনজীবী মোহাম্মদ এন মজুমদার বলেন, “বকেয়া ভাড়া আদায়ের জন্যে সিটিতে কঠিন আইন রয়েছে। সে পথে না গিয়ে সরাসরি তার ১২ বছর বয়েসী পুত্রের সামনে জাকিরকে নৃশংসভাবে হত্যার পেছনে অন্য কোনো মোটিভ যে ছিল না-এটি সহজে মেনে নেওয়া যায় না। এজন্যে বিস্তারিত তদন্ত চাচ্ছি আমরা।”
হোস্ট সংগঠনের সদস্য সচিব ও জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জেড চৌধুরী জুয়েল বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হবার কথা ২২ জুন সকাল ৯টায়। এজন্যে আমরা ওই সময়ে যত বেশি সংখ্যক সম্ভব প্রবাসী জড়ো হতে চাই। তাহলে মাননীয় আদালতে বিচারটি গুরুত্ব পাবে।”
‘বাংলাদেশ সোসাইটি’র সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী বলেন, “ঘাতকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্যে আমরা সর্বস্তরের প্রবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি, যথাসময়ে ব্রঙ্কস সুপ্রিম কোর্টের সামনে জড়ো হওয়ার জন্যে।”
বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও হোস্ট সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম হাওলাদার বলেন, “আমরা সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। ঘাতকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে অন্যেরা আর সাহস পাবে না বাংলাদেশিদের গায়ে হাত দিতে।”
কম্যুনিটি নেতা সিরাজ উদ্দিন সোহাগ বলেন, “এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র জাকির খানের হত্যাকাণ্ডের বিচার ইস্যুতে মাঠে নেমেছি। তবে তার পরিবার যদি কোন ধরনের সহায়তা চায়, তাহলে আমরা সে উদ্যোগ নিতেও পিছপা হবো না।”
এর আগে জাকির খান হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে সমগ্র কম্যুনিটিকে সোচ্চার করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠিত এবং প্রতিবাদ সমাবেশ সমন্বিত করতে বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমদকে আহ্বায়ক, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জেড চৌধুরী জুয়েলকে সদস্য সচিব এবং বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটি কাউন্সিলের সভাপতি মোহাম্মদ এন মজুমদারকে প্রধান সমন্বয়কারী ও মুখপাত্র করে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্যরা হচ্ছেন সিনিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক বদরুল হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম হাওলাদার, আব্দুল হাসিম হাসনু, আব্দুস শহিদ, আনোয়ার হোসেন, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার এবং ময়নুল ইসলাম, যুগ্ম সদস্য সচিব নুরুল এহিয়া, নজরুল হক, মনজুর চৌধুরী জগলুল, শাহেদ আহমদ, আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী, শামীম মিয়া, মিজান খান, এ ইসলাম মামুন, সারওয়ার চৌধুরী, জুসেফ চৌধুরী, মোশাহিদ চৌধুরী, সৈয়দ নোমান এবং মোহাম্মদ সাদী মিন্টু।
এছাড়া আছেন সমন্বয়কারী শামসউদ্দীন, কাওছারুজ্জামান কয়েছ, আহসান হাবিব, দুরুদ মিয়া রনেল, হারুন আলী, তুষার আহমদ, হোসেন আহমদ (নিউ জার্সি), সিরাজুল ইসলাম, ফরিদা ইয়াসমিন, কাওছার আহমদ, আব্দুর রহিম, সেবুল খান মাহবুব, সৈয়দ এনাম আহমদ, শেখ মজনু মিয়া, মাকসুদা আহমদ, শিশু আহমদ, হুমায়ুন আহমদ চৌধুরী এবং জে মোল্লা সানীর সমন্বয়ে ‘ইউনাইটেড বাংলাদেশি ফর জাকির এ খান’ গঠন করা হয়েছে।
এর সদস্যরা হলেন নার্গিস আহমদ, রানা ফেরদৌস, আজমল হোসেন কুনু, একলিমুন জামান নুনু, রুহুল আমিন সিদ্দিকি, গিয়াস আহমদ, মাহবুব আহমদ, রিয়াজ উদ্দীন কামরান, আবুল খায়ের, নাজমুল হক চৌধুরী হেলাল, সৈয়দ মুজিবুর রহমান, তোফায়েল চৌধুরী, প্রফেসর কাইয়ুম, আব্দুল বাসির খান, আজিমুর রহমান বুরহান, শেখ আল মামুন, নাহিদ খান, আজমল শাহীন, ময়নুজ্জামান চৌধুরী, হারুন আহমদ চৌধুরী, আব্দুর রহিম, আব্দুল কাদির চৌধুরী শাহিন, আতাউর রহমান সেলিম ও আব্দুর রব দলা।
আরও আছেন দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী, শাহ মিজানুর রহমান, বদরুন নাহার খান মিতা, রেক্সোনা মজুমদার, বেলাল উদ্দীন চৌধুরী, নুরে আলম জিকু, ফজলু মিয়া, মেসবাউজ্জামান, কফিল উদ্দীন চৌধুরী, আব্দুল মছব্বির, আনছার আহমদ চৌধুরী, আব্দুস শহিদ দুদু, আব্দুর রউফ মছরু, সুলেমান আলী, আব্দুর রহিম বাদশা, এ টি এম কামাল, সিরাজ উদ্দীন আহমদ সোহাগ, মিজানুর বহমান চৌধুরী শেফাজ, আসাদুল গনি, সিরাজুল ইসলাম বেগ ও আজির উদ্দীন।
সদস্য হিসেবে আছেন আব্দুল বাসিত চৌধুরী মাসুক, মোহাম্মদ আলী, লোকমান হোসেন লুকু, শেখ আল ওয়াহিদ নাজিম, জাকির আহমদ, আবুল খায়ের আকন্দ, ইমরান শাহ রন, সারোয়ার আলী, মাহবুব আলম, মোমেনুল ইসলাম, আবুল হোসেন, জিল্লুর রহমান, আব্দুল হাসিব মামুন, আজম চৌধুরী, সাগর নন্দী, জুহেল আহমদ, বাহার উদ্দীন চৌধুরী, চৌধুরী মোমিত তানিম, শাহ আলম, বুবহান উদ্দীন, মোহাম্মদ আলী রাজা, শাহ বদরুজ্জামান রুহেল, আপ্তাব খান মোহন. রেহানুজ্জামান ও শামীম আহমদ।
সদস্য হিসেবে আরও আছেণ গোলাম রাব্বানী চৌধুরী, ফারহানা চৌধুরী, সোহেল আহমদ, ফখর উদ্দীন, আলতা মিয়া, হেলাল উদ্দীন চৌধুরী, বুরহান উদ্দীন, তৌফিকুর রহমান ফারুক, সাব্বির আহমদ, রোকন হাকিম, হেলাল উদ্দীন, তানভির শামীম লোবান, খলিলুর রহমান, আশরাফ আহমদ ইকবাল, এনায়েত হোসেন জালাল, শাহ আলাউদ্দীন, মামুন আহমদ, জামাল হোসেন, মাজহারুল ইসলাম জনি, মোহাম্মদ আলী মান্নান, জুনেদ আহমদ, আব্দুল মোহিত, জুনেদ আহমদ চৌধুরী ও আহবাব চৌধুরী খোকন।
আরও আছেন মকন মিয়া, মনির আহমদ, মনাফ আহমদ, তোফায়েল আহমদ, বশির উদ্দীন, মনিকা রায়, খালেদ আহমদ, মাওলানা রশিদ আহমদ, সৈয়দ এম কে জামান, জামাল হোসেন, সাহিদ আলী, সামাদ মিযা জাকের, আশরাফুজ্জামান, সরোয়ার আলী, নুরুজ্জামান লিপন ও জুবের চৌধুরী।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |