রাশিয়াকে বাংলাদেশের ‘সব মৌসুমের বন্ধু’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন বক্তারা।
Published : 25 Jan 2025, 11:40 PM
আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক উৎসবের মধ্য দিয়ে মস্কোতে উদযাপন করা হয়েছে বাংলাদেশ-রাশিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫৩ বছর।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মস্কোর ঐতিহ্যবাহী গোস্টনি দিভর হলে এ আয়োজন করে ‘রাশিয়ান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি উইথ বাংলাদেশ’ ও ‘রাশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন’।
উৎসবে বাংলাদেশ-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে দৃঢ় করা, বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক বিনিময়, দুই দেশের পাবলিক ডিপ্লোমেসি এবং রাশিয়াকে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বক্তব্য দেন রাশিয়ার ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার আন্দ্রে ইউরিভিচ রুডেনকো, আন্তর্জাতিক বিষয়ক রাশিয়ান ফেডারেশনের ফেডারেল অ্যাসেম্বলির স্টেট ডুমা কমিটির প্রথম ডেপুটি চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সংসদীয় বন্ধুত্ব গ্রুপের চেয়ারম্যান ঝুরোভা স্বেতলানা সের্গিয়েভনা, রাশিয়ান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি উইথ বাংলাদেশের সভাপতি মিয়া সাত্তার, রাশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের মহাসচিব ভ্লাদিমির মিখাইলোভিচ পোলোজকভ।
ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার নতুন রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার জি খোজিন।
বক্তারা দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাশিয়াকে বাংলাদেশের ‘সব মৌসুমের বন্ধু’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
রাশিয়ান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি উইথ বাংলাদেশের সভাপতি মিয়া সাত্তার বলেন, “আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের দিন থেকেই বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। রাশিয়া, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে শুধু সমর্থনই করেনি, আমাদের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠনেও যোগ দিয়েছে। তাদের নৌবাহিনী চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের মাইন অপসারণ করে আমাদের সমুদ্র বাণিজ্য আবার খুলে দিয়েছে। স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল।”
“রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক জোরদার করতে সেতুবন্ধনের ভূমিকা পালন করছে আমাদের সংগঠন। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি, রাশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার তৈরিসহ বন্ধুপ্রতীম দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে নিরলসভাবে কাজ করবো।”
অনুষ্ঠানে রাশিয়ান পার্লামেন্ট ডুমার আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির প্রথম ডেপুটি চেয়ারম্যান, রুশ পার্লামেন্ট মেম্বার, বাংলাদেশ থেকে সদ্য বিদায়ী রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি, রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।