বিক্ষোভ থামাতে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদেরকে সতর্ক করে দিলেও তারা তা উপেক্ষা করেন বলে খবরে বলা হয়েছে।
Published : 25 Jul 2024, 12:34 AM
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ প্রবাসী বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত।
তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পুলিশ এখনও মিছিলে অংশগ্রহণ করায় বিভিন্ন স্থানে ধরপাকড় চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আমিরাতের সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘এমিরেটস নিউজ এজেন্সি’।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে কোনো ধরনের গণজমায়েত, মিছিল বা উসকানিমূলক সমাবেশ করার বিষয়ে আইনানুগ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এমিরেটস নিউজ এজেন্সি’ জানায়, শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে আমিরাত সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল চ্যান্সেলর হামাদ সাইফ আল শামসি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত এবং সন্দেহভাজনদের ‘জরুরি বিচার’ এর আওতায় আনার নির্দেশ দেন।
সংবাদ সংস্থাটি বলেছে, আদালতে আসামিরা ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবহন চলাচল ব্যাহত করেছে, বিক্ষোভের জন্য আহ্বান জানিয়েছে, উসকানি দিয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড ভিডিও রেকর্ড করে ছড়িয়ে দিয়েছে, যার সবই রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ।
খবরে বলা হয়, বিক্ষোভ থামাতে আমিরাতের আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদেরকে সতর্ক করে দিলেও তারা তা উপেক্ষা করেন। আদালত তাদের অপরাধের যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়ায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করেছে। মামলায় উভয়পক্ষে ৩০ জন আইনজীবী ছিলেন।
অন্য প্রবাসীরা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশিদের মিছিল সমাবেশের ঘটনাটি এতদূর গড়াত না যদি তারা ‘অতি আবেগপ্রবণ’ না হয়ে পুলিশের নির্দেশ শুনতেন। রায় ঘোষণাকালেও আদালত তা স্পষ্টভাবে বলেছে।
এমন প্রেক্ষাপটে আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর এবং দুবাই ও উত্তর আমিরাতে বাংলাদেশ কনস্যুলেটর কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন প্রবাসীদেরকে আমিরাতের আইন পরিপন্থি সব ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।