বিএনপি নেতা সোহেল-নীরবসহ ৩৬ জনের কারাদণ্ড

এর মধ্যে দুটি মামলা ২০১৮ সালের, অন্যটি ২০২১ সালের।

রাজধানীর পল্টন, মিরপুর ও বাড্ডা থানায় নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম মজনু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজিব আহসানসহ ৩৬ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বুধবার এসব মামলার রায় ঘোষণা করা হয় বলে আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী কালাম খান জানান।

এর মধ্যে পল্টন থানায় মামলায় ১৯ জনকে দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম।

২০১৮ সালে নাশতার অভিযোগে করা এ মামলায় দণ্ডিতরা হলেন– বিএনপির বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম মজনু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজিব আহসান, মশিউর রহমান বিপ্লব, রেফাত উল্লাহ, আব্দুস সালাম, আলমগীর কবির, সাইদুর রহমান খোকন, কামাল হোসেন সুমন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সোবহান মিয়া, শাকিল হাওলাদার ওরফে বেল্লাল বয়াতি, হাবিবুর রশিদ হাবিব, আরিফুল হক আরিফ, খন্দকার এনামুল হক এনাম, আবুল কালাম আজাদ, আলমগীর হোসেন, আব্দুস সালাম ও কফিল উদ্দিন। 

এছাড়া মামলা চলাকালে শফিউল বারী বাবু মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা পল্টন এলাকায় মিছিল বের করে। মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে গেলে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন তারা। সে সময় ককটেলও ফাটানো হয়।

২০২১ সালে নাশকতার অভিযোগে মিরপুর থানার মামলায় পৃথক দুই ধারায় বিএনপির ৫ জনের আড়াই বছরের সাজা দিয়েছেন ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম। পাশাপাশি তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেন তিনি।

দণ্ডিতরা হলেন- আব্দুর রহমান সুজন, সামদানী আলী, রাশেদ ইমাম, স্বাধীন, সম্রাট, শামীম পারভেজ। ২০২১ সালের মার্চ মাসে এ মামলা দায়ের করা হয়।

রাজধানীর বাড্ডা থানার ২০১৮ সালের নাশকতার মামলায় বিএনপির ১২ জনকে দুই বছরের সাজা দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ঢাকার মহানগর হাকিম আতাউল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। 

দণ্ডিতরা হলেন- সাদেক হোসেন রিপন, কাইয়ুম, আবুল আতিক ওরফে টুটুল, আনোয়ারুল ইসলাম খোকন, কে জামান, মাকসুদ হোসেন, আয়নাল হক ওরফে আয়নাল মেম্বার, আবির, নবি হোসেন, রায়হান, সামির হোসেন, আব্দুস সামাদ ওরফে গ্রীল সামাদ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালে পূর্ব বাড্ডায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাঙচুর এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে বাড্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মোবিনুল ইসলাম বাধন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় এ মামলা দায়ের করেন।