গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনে ‘লিয়াজোঁ কমিটি’ হবে

ঢাকায় বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশেও সমর্থন দেওয়া হচ্ছে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2022, 11:40 AM
Updated : 7 Dec 2022, 11:40 AM

দুয়েকদিনের মধ্যে বিএনপির সঙ্গে লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করে ‘যুগপৎ আন্দোলনে’ নামার ঘোষণা দিয়েছে সাত দলের মোর্চা গণতন্ত্র মঞ্চ।

বুধবার দুপুরে বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের পর মঞ্চের নেতা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি যে, এই আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে অগ্রসর করে নেব এবং একে অগ্রসর করবার জন্য যে দুইটা ভিত্তি, যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলবার জন্য, আরও ব্যাপকভাবে এই ইস্যুর ওপরে ঐক্যবদ্ধ থাকবার জন্যে, আরও আলোচনা চালিয়ে যাব।

“আন্দোলনের ফিজিক্যাল যে অংশ, অর্থাৎ শারীরিকভাবে সেই আন্দোলনকে গড়ে তুলবার জন্য আমরা একটা লিয়াজোঁ কমিটি করব। আমরা আশা করি, ১০ তারিখের আগেই এই কমিটি গঠন করা সম্ভব হবে।”

ব্রিফিংয়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, “আলোচনায় আন্দোলনের বিষয় ওঠে এসেছে। এবারের আন্দোলনে সফল হতে পারলে রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হবে।

“শাসনতন্ত্রের কথা বলে নির্বাচন না করে যাতে স্বৈরাচারের জন্ম না হয়, সে ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। আমরা সেইরকম পরিবর্তন আনার চেষ্টা করবে।”

১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের আগেই ওই লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান টুকু।

সকাল সাড়ে ১১টায় তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ ভবনে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বিএনপির নেতাদের বৈঠক শুরু হয়; চলে দেড়টা পর্যন্ত।

বিএনপির সমাবেশে সমর্থন দিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “১০ তারিখকে কেন্দ্র করে সরকার ঢাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এই সভায় সরকারের এই আগ্রাসী আক্রমণাত্মক সহিংস তৎপরতার নিন্দা করা হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ১০ তারিখের যে কর্মসূচি- রাজনৈতিকভাবে গণতন্ত্র মঞ্চ সমর্থন দিয়েছে।”

এ সময় সমাবেশে কোনো সহিংসতার সৃষ্টি হলে ‘সরকার দায়ী থাকবে’ বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী ও নির্বাহী কমিটির সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন।

মঞ্চের পক্ষে আরও ছিলেন- বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বহ্নি শিখা জামালী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, হাবিবুর রহমান রিজু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম, ইমরান ইমন, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারি, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান এবং নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার।