“বিএনপি গণতন্ত্রকে ভয় পেয়ে‘ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করে ক্ষমতাদখল করতে চায়’ বলেও মন্তব্য করেছেন কাদের।
Published : 07 Aug 2023, 05:00 PM
বিএনপির ‘তথাকথিত আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ায়’ মির্জা ফখরুল ইসলামরা এখন ‘পাগলের প্রলাপ’ বকছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
দলটি গণতন্ত্রকে ভয় পায় বলে ‘ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করে ক্ষমতা দখল করতে চায়’ বলেও মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা।
কাদের বলেন, "বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলামরা এখন পাগলের প্রলাপ বকছে। বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সাড়া না পেয়ে এবং জনগণ দ্বারা বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নেতারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
“তারা একেক সময় একেক কথা বলে। কখনো বিদেশি প্রভুদের কৃপা প্রত্যাশায় তাদের স্তুতি করে। আবার কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে।"
সোমবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে কাদের এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘সরকারবিরোধী’ বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, "বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিরোধী দল ও মত দমনের কথা বলছে! কিন্তু তারা লাগাতারভাবে মিছিল-মিটিং সমাবেশ করে এবং সরকারের বিরুদ্ধে নির্লজ্জ মিথ্যাচার-অপপ্রচার চালাচ্ছে ও বিষেদগারে লিপ্ত রয়েছে।
“অন্যদিকে বিরোধী মত দমনের মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করছে। বিএনপি নেতারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের অন্তর চরম স্বেচ্ছাচারিতা ও মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ।”
কাদের বলেন, "স্বৈরচারী আদর্শ ও সন্ত্রাসের ধারক-বাহক এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি সবসময় গণতন্ত্রের পথকে ভয় পায়। বিএনপির রাজনীতি হল যে কোনো উপায়ে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে ক্ষমতাদখল।"
জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আমালের সমালোচনা করে কাদের বলেন, "গণতন্ত্র, সংবিধান, আইনের শাসন, নির্বাচনী ব্যবস্থা হত্যা করে এখন তারা নিজেদের গণতন্ত্রকামী হিসেবে প্রকাশ করছে, যা হাস্যকর। সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান ও তার উত্তরসূরী খালেদা জিয়ার শাসনামলে দেশে শুধুমাত্র যুদ্ধাপরাধী ও পাকিস্তানপন্থীরা রাজনীতি করতে পেরেছে। তাদের সময় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অবাধ বিচরণ ছিল।”
নিজেদের কৃতকর্মের জন্য বিএনপির মধ্যে কোনো ‘অপরাধবোধ নেই’ মন্তব্য করে কাদের বলেন, “২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতাদখলের পর আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২২ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়।“
তিনি বলেন, "তারা এখনো ওই হামলাকারীদের পক্ষে সাফাই গায়। আরেকটি ১৫ই অগাস্ট সৃষ্টির হুমকি দেয়। যে দল নিজেরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে না, দেশের মানুষকে তারা কী গণতন্ত্র দেবে?"
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরে গত দেড় দশকে দেশ উন্নয়ন অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।