জরুরি অবস্থার সময় দায়ের করা দুদকের এ মামলায় আমানের ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
Published : 20 Mar 2024, 02:58 PM
অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় ১৩ বছর সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে তাকে বিদেশ যেতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৫ বিচারকের আপিল বেঞ্চ বুধবার এই সিদ্ধান্ত দেয়।
আমানের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৬ মার্চ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান এবং তার স্ত্রী সাবেরা আমানের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক।
ওই বছরের ২১ জুন আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় বিশেষ জজ আদালত।
এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেন তারা। ২০১০ সালের ১৬ অগাস্ট হাই কোর্ট তাদের আপিল মঞ্জুর করে খালাস দেয়।
হাই কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক। আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ২৬ মে হাই কোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেয়।
গত বছরের ৩০ মে হাই কোর্ট ওই মামলায় আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেয়।
বিচারিক আদালত রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আমান ও সাবেরাকে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত বছরের ৭ অগাস্ট পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। নির্দেশনা অনুসারে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আবুল কাশেমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আমান। শুনানি শেষে আদালত আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
এরপর ১২ সেপ্টেম্বর তিনি হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন, সঙ্গে জামিনও চান।
এর আগে গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করেন সাবেরা। সেদিন ঢাকার বিশেষ জজ-১ আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।
পরদিন হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে জামিন চান সাবেরা। ৫ সেপ্টেম্বর চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম তাকে জামিন দেন।
পুরনো খবর