‘এটা হাসির খোরাক জোগায়’, ঢাকায় এক অনুষ্ঠান শেষে বলেন তিনি।
Published : 20 Dec 2022, 05:37 PM
বিএনপি আমলের ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও বোমাবাজির’ চিত্র তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন দলটির মুখে মানবাধিকারের কথা ‘হাস্যকর’ ও ‘ভাঁওতাবাজি’ বলে মন্তব্য করেছেন।
মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস) এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, “২০০১ থেকে ২০০৬ সালে সারা বাংলাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়। এত সন্ত্রাসের রাজত্ব যে, আদালতের জজ সাহেবরা রক্ষা পায় নাই। তখন ৬৩ জেলায় বোমা হামলা হয়েছে। একজন রাষ্ট্রদূতের উপর হামলা হয়, তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও অনেকে মারা যান। অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে ৫৫ জন মানুষ মারা হয়েছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে।
“ওরা মানবাধিকারের কথা বলে, নিজের ঘরইতো আগে সামাল দেওয়া দরকার। এর সাথে সম্পৃক্ত ছিল বিভিন্ন অপকর্মে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে, তিনি না কি এটা ঠিক করে দেবেন। এটা হাসির মনে হয় না? এটা হাসির খোরাক জোগায়। যারা এটা মুখে বলে, এটা হচ্ছে ভাঁওতাবাজি। এটা মূলত ভাঁওতাবাজি।”
টানা দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব পালন না করার নিয়ম চালুসহ বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থা বদলে ফেলতে ২৭ দফা কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেছে বিএনপি, যেটাকে তারা ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ বলছে।
বিএনপি হচ্ছে ‘ফিনিক্স পাখি’, এখন আরও ‘শক্তিশালী’: মোশাররফ
রাষ্ট্র মেরামত বিএনপির নতুন ‘স্টান্টবাজি’: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির ২৭ দফা রূপরেখা: টানা দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়
সোমবার বিকালে গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের বলরুমে রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এক সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ রূপরেখা ঘোষণা করেন।
এর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা, উচ্চ কক্ষের আইনসভা চালুসহ সংবিধানে গণভোট ব্যবস্থা পুনপ্রবর্তন এবং এক বছর বেকার ভাতা দেওয়ার কথা বলেছে দলটি।
২৭ দফা রূপরেখায় ১৪ নম্বরে বলা হয়, সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। ইউনিভার্সাল হিউম্যান রাইটস চার্টার অনুযায়ী মানবাধিকার বাস্তবায়ন করা হবে।
বিএনপির এসব প্রতিশ্রুতির বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, গত দেড় দশকের ‘গুম, খুন ও নির্যাতনের’ ঘটনার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী বিচার করা হবে।
জ্বালিয়ে দেওয়ার ভয়ে বাস মালিকরা বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগে গাড়ি চালানো বন্ধ করে দিয়েছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, “ওদের প্রতি মানুষের ভয় কেন? সম্প্রতি ওরা বিভিন্ন শোভাযাত্রা করলেন, মিছিল করলেন আর বাস কোম্পানিওয়ালারা বন্ধ করে দিল বাস। সরকার তাদের বলে নাই।
“সে বন্ধ করেছে নিজের তাগিদে, তার সম্পত্তিটা জ্বালিয়ে দেবে। লোকেরা গাড়ি বের করে না ভয়ে, কারণ কথায় আছে না, ন্যাড়া একবার বেলতলায় যায়। সুতরাং উনারা এটা বললে মানুষ বিশ্বাস করে না।”