২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আগের শর্তে ছয় মাস বাড়ানো হচ্ছে মুক্তির মেয়াদ।
Published : 09 Feb 2024, 05:39 PM
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আবারো বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। আগের দুই শর্তে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর বিষয়ে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আগের শর্তে ছয় মাস বাড়ানো হচ্ছে মুক্তির মেয়াদ।
একজন কর্মকর্তা জানান, দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সেই আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
আইন মন্ত্রণালয় মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর পক্ষে মত দিলে আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং বিদেশ যেতে না পারার শর্ত বহাল রেখে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়াতে মতামত দেওয়া হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আবেদনে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর কথা বলা ছিল। কিন্তু সে বিষয়ে আইনে কোনো সুযোগ নেই। আইনি সুযোগ থাকলে আমরা বিবেচনা করতাম।”
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই বছরের অক্টোবরে হাই কোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরও সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি নেত্রীর। তিনি তখনও পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদার দণ্ড স্থগিত করেন ছয় মাসের জন্য। ওই বছরের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানে তার বাড়িতে রয়েছেন। প্রতি ছয় মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে পরিবারের আবেদনে।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)