“এটা জনগণের কাছে পরিষ্কার যে, গত তিন দশক আওয়ামী লীগ ভারতের সহযোগিতায় নির্বাচনের নামে তামাশা করে আসছে। গত ৭ জানুয়ারি বিনা ভোটে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে ভারতের সমর্থনে।”
Published : 20 Mar 2024, 03:13 PM
সরকারের মন্ত্রীদের ভারত বন্দনার সমালোচনা করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশী ভারতের স্যাটেলাইট রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে মন্ত্রীরা জনগণের ভোটাধিকার হরণ, গণতন্ত্র হত্যা এবং বিনা ভোটে অবৈধ ক্ষমতার অমরত্ব লাভের অপচেষ্টায় প্রতিবেশী ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদের স্বীকারোক্তি প্রদান করে জোর গলায় বক্তৃতা দিচ্ছেন।
“কথায় কথায় প্রায় সব মন্ত্রী ভারত বন্দনায় মত্ত হচ্ছেন। তাদের কথাবার্তা ও আচার-আচরণে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ এখন ভারতের স্যাটেলাইট রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।”
কয়েকদিন আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করেন। কাদের বলেছিলেন, ভারত পাশে থাকায় অনেক শক্তিধর দেশই নির্বাচন নিয়ে অশুভ খেলা খেলার সুযোগ পায়নি।
আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০১৪ থেকে শুরু করে দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত তিনটিতেই ভারত বাংলাদেশের পাশে থেকেছে।
দুই মন্ত্রীর বক্তব্য জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থি অভিযোগ করে করে বিএনপিনেতা রিজভী বলেন, “ওবায়দুল কাদের ও হাছান মাহমুদের অকপট স্বীকারাক্তি প্রমাণ করে জাতিসংঘ সনদের ২ (৪) ধারা সরাসরি লংঘন করে ভারত আমাদের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার সব কিছুর উপর সরাসরি নগ্ন হস্তক্ষেপ করে চলেছে।”
রিজভীর ভাষায়, “নির্বাচনের সময়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বাংলাদেশে এসে একদলীয় নির্বাচনের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। ভারতীয় কূটনীতিকরা বাংলাদেশে এসে বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তারা স্থিতিশীলতা চান। তাহলে কোথায় স্বাধীনতা, কোথায় সার্বভৌমত্ব?
“এটা জনগণের কাছে পরিষ্কার যে, গত তিন দশক আওয়ামী লীগ ভারতের সহযোগিতায় নির্বাচনের নামে তামাশা করে আসছে। গত ৭ জানুয়ারি বিনা ভোটে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে ভারতের সমর্থনে।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্রই ‘ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইন নিয়ে উত্তাল মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপিসহ ৬৩টি গণতন্ত্রকামী দল এবং দেশপ্রেমিক জনগণ ভারতীয় পণ্য বর্জনের এই আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস উপস্থিত ছিলেন।