এখানে-সেখানে হাত পেতে বেড়াচ্ছে সরকার: খন্দকার মোশাররফ

“আন্দোলনের মুখে এই সরকার কিন্তু বিচলিত, আজকে তারা ভয়ে ভীত এবং কম্পমান- এগুলো কিন্তু বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হচ্ছে তাদের কথাবার্তার মধ্যেই,” বলেন খন্দকার মোশাররফ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 June 2023, 08:43 AM
Updated : 16 June 2023, 08:43 AM

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। 

‘সংবাদপত্রের কালো দিবস’ উপলক্ষে শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “এখানে-সেখানে হাত পেতে বেড়াচ্ছেন, ঋণ ছাড়া সরকার চলছে না, ডলারের অভাবে আমাদের আমদানিকারকরা আমদানি করতে পারছে না। বিদ্যুতের লোডশেডিং যেটা প্রধানমন্ত্রী পাঠিয়েছিলেন মিউজিয়ামে, সেই লোডশেডিংয়ে আজকে বিপর্যস্ত মানুষ। 

“অর্থনীতির দুরাবস্থার কারণে এই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি আমদানি করতে পারছেন না। তারপরে কিভাবে একটা দেশের গায়ের জোরের প্রধানমন্ত্রী এবং চাপাবাজির প্রধানমন্ত্রী না হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি আজকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আছে বলে দাবি করতে পারেন। এটা থেকে বুঝতে পারেন নানা কারণে আজকে তাদের কি অবস্থা।”

দেশের অর্থনীতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, “এটা সবাই জানে আমাদের অর্থনীতির অবস্থা কেমন। মূল্যস্ফীতি, ঋণ সংকট, ডলার সংকট, দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি, রপ্তানি আয় কমে গেছে, আমাদের রেমিটেন্স কমে গেছে, রিজার্ভ সংকট… এগুলো বাস্তব অবস্থা। তারপরও আমাদের দেশের গায়ের জোরের প্রধানমন্ত্রী জেনিভায় গিয়ে বলেন আমাদের দেশের অর্থনীতি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আছে; ধিক্কার। এভাবে চাপাবাজি করে বেশিদিন কোনো সত্য ঘটনাকে চাপা দিয়ে রাখা যায় না। বাংলাদেশের অর্থনীতি আমরা যেমন জানি, সারা বিশ্বও জানে।” 

বিরোধী আন্দোলনে সরকার ‘কম্পমান’ বলে মন্তব্য করেন খন্দকার মোশাররফ।

“এখন সরকার বেসমাল হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন জন বিভিন্ন রকমের কথা বলে। এদেশের মন্ত্রীরা একেক জন একেক রকম কথা বলছেন…মন্ত্রীরা আবোল-তাবোল বলছেন। কেউ একরকম বলছেন, কেউ আরেকরকম বলছেন। কেন বলছেন? আসলে বাংলাদেশে জনগণের আন্দোলনের মুখে এই সরকার কিন্তু বিচলিত, আজকে তারা ভয়ে ভীতি এবং কম্পমান- এগুলো কিন্তু বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হচ্ছে তাদের কথাবার্তার মধেই।”

আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “আজকে মানুষের কাছে প্রশ্ন- এ যাবে কবে, কিভাবে যাবে, যাবে তো? আমাদের সবার মধ্যে, রাজনীতি আমরা যারা করছি, আন্দোলনের মাঠে আছি … সবার একটাই কথা এ যাবে কবে?”

ঈদের পর সরকার পতনের আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।

“কারণ সিদ্ধান্ত, সঠিক আন্দোলন, সঠিক কর্মসূচির ওপর নির্ভর করবে আমরা জিতব কি জিতব না। নিশ্চয়ই আমাদেরকে আন্দোলনের রক্তে-ঘামে বিজয় অর্জন করতে হবে।”

বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের সভাপতিত্বে ও সদস্য কাদের গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সেলের সদস্য সচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সাবেক ডিন বোরহান উদ্দিন খান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।