কবির বিন আনোয়ারও একই রকম ইংগিত দিয়েছিলেন অবসরে যাওয়ার পর।
Published : 06 Jan 2023, 11:00 PM
ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে ‘নিয়মিত বসতে বলেছেন’ সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারকে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক যৌথসভায় দলের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, “নিশ্চয় নেত্রী তাকে (কবির বিন আনোয়ার) কোনো বিশেষ দায়িত্ব দেবেন।”
মাত্র তিন সপ্তাহ মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করে গত ৪ জানুয়ারি সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যান আলোচিত সরকারি কর্মকর্তা কবির বিন আনোয়ার।
অনেকেই ধারণা করেছিলেন, অবসরের পরও ‘বিশ্বস্ত’ এই কর্মকর্তাকে হয়ত চুক্তিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব করে রেখে দিতে পারেন সরকারপ্রধান। তবে সেটা না ঘটায় শুরু হয় আলোচনা।
কেউ কেউ বলতে থাকেন, কবির বিন আনোয়ারকে ‘অন্য দায়িত্ব’ দেওয়ার কথা ভেবে রেখেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। ওবায়দুল কাদেরও এবার সে সুরেই কথা বলছেন।
তবে এই আমলাকে ক্ষমতাসীন দলের কোন দায়িত্বে দেখা যাবে, তা ‘জানেন না’ বলে দাবি করেন কাদের।
তিনি বলেন, "উনি (কবির বিন আনোয়ার) আমার সাথে দেখা করতে এসেছেন। তাকে দায়িত্ব দিলে জানতে পারবেন। এত তাড়াহুড়া করার কিছু নাই।"
গত ১১ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্বে আসেন কবির বিন আনোয়ার। পরে ৪ জানুয়ারি বয়স ৫৯ বছর পূর্ণ হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) তিনি অবসরে যান।
বিষয়টিকে ‘নিয়মতান্ত্রিক’ হিসেবে বর্ণনা করে সাবেক এ সচিব সংবাদ মাধ্যমে বলেছিলেন, কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিতেই হয়ত তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমনটাই তার বিশ্বাস।
বিএনপি প্রসঙ্গ
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে দলটির ভাতৃপ্রতীম ও সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে এই যৌথসভায় বিএনপি নেতাদের মুক্তির দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিচার ব্যবস্থা কি পরাধীন? দেশের বিচার ব্যবস্থা কি সরকারের অধীন? সরকারের কত লোক আজ কারাগারে।
“কত লোক দুদকের মামলায় হাজিরা দিচ্ছে। তারপর দুদকের মামলায় অনেকেই কারাগারে আছেন। অনেকে কনভিক্টেড হয়ে গেছে। আমাদের এখানে তো বিএনপিরও অনেকে জামিন পাচ্ছে। পায়নি?“
বিএনপির সঙ্গে জোট করা দলগুলোর অনেকের ‘সাইনবোর্ড নেই’ (নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন) মন্তব্য করে কাদের প্রশ্ন রাখেন, যুগপৎ যে আন্দোলনের কথা বিএনপি ও সমমনারা বলছে, কে তার নেতৃত্ব দেবেন?
“কে লিড করবে এই আন্দোলন? কে লিড করবে আগামী নির্বাচন? যে দুজনের (খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান) কথা বলবেন, তারা তো যোগ্য না।”
অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইউসূফ হাসান হুমায়ুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন ও আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, আইন বিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি, যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: