“অন্যথায় গণতন্ত্র মুক্তির জন্য যে আন্দোলন শুরু হয়েছে এক দফার দাবির, সেই দাবি আদায় করে জনগণ একটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করবে।”
Published : 12 Aug 2023, 01:56 PM
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাকে বিদেশ পাঠানোর দাবি আবার জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্ত খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ফের ভর্তি হওয়ার দুদিন পর শনিবার সকালে বনানীতে আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারতের পর এই দাবি জানান।
ফখরুল বলেন, “গতকালও আমি হাসপাতালে ছিলাম। বোর্ড হয়েছে, সেই বোর্ডের ডাক্তাররা খুব উদ্বিগ্ন। তারা মনে করছেন যে, দেশনেত্রীকে যদি অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ করা না হয়, তাহলে শেষ পর্যন্ত ঢাকায় বা বাংলাদেশে তার চিকিৎসা সম্পূর্ণভাবে সম্ভব হবে কি না, তারা নিশ্চিত নন।
“তাই তারা বার বার বলেছেন, তার চিকিৎসার জন্য বিদেশে অ্যাডভান্সড সেন্টারে পাঠানো উচিৎ। গতকালও তাদের সাথে আলাপকালে কারা এই কথাই বলেছেন যে, তাকে বিদেশে পাঠানো খুবই দরকার।”
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা এখন ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, ডায়াবেটিস, কিডনি, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনি। এক বছর আগে তার লিভার সিরোসিসও ধরা পড়ে।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাগারে যাওয়া খালেদা জিয়া ২০২০ সালে নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে তাকে বিদেশ পাঠানোর দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। তার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদনও জানান হয়।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দণ্ডিত খালেদা জিয়া যে শর্তে মুক্ত রয়েছেন, তাতে তার বিদেশ যাওয়ারর কোনো সুযোগ নেই। বিদেশ যেতে চাইলে তাকে কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করতে হবে, এমন কথা বলছেন আইনমন্ত্রী আনিরুল হক।
খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, “যারা দায়িত্বে আছেন, তাদেরকে আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই যে, অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন এবং তার সুচিকিৎসার জন্য তাকে বাইরে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।
“অন্যথায় গণতন্ত্র মুক্তির জন্য যে আন্দোলন শুরু হয়েছে এক দফার দাবির, সেই দাবি আদায় করে জনগণ একটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করবে।”
খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর কবর র ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে তার কবর জিয়ারতেফখরুলের মরঙ্গ ছনে মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া।
বিএনপি মহাসচিবব বলেন, “প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অত্যাচার ও নির্যাতনেই অকালে প্রাণ হারান আরাফাত রহমান কোকো। দুর্ভাগ্য আমাদের অত্যন্ত মেধাবী ও অসাধারণ সংগঠক, তাকে মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দীনের সরকার নির্লজ্জ ও নির্মমভাবে অত্যাচার নির্যাতন করে। শারীরিক নির্যাতনে তিনি অসুস্থ হয়ে যান এবং অসুস্থ হওয়ার পর মালয়েশিয়াতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।”