সৈয়দ আবুল হোসেনের প্রতি প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ও পরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
Published : 26 Oct 2023, 05:54 PM
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ও মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবুল হোসেনের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার বিকালে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জানাজার পর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সৈয়দ আবুল হোসেনের প্রতি প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ও পরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, আব্দুর রহমান, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেলন, উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন।
সৈয়দ আবুল হোসেন বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী সৈয়দ আবুল হোসেন ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মাদারীপুর-৩ আসন (কালকিনি-ডাসার-সদরের একাংশ) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এরপর তিনি সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনেও সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালের মন্ত্রিসভায় তিনি স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী এবং ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি দায়িত্বে থাকার সময় ২০১১ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ঋণ চুক্তি হয়। পরে ওই প্রকল্পে অনিয়মের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলে বিশ্ব ব্যাংক, যা নিয়ে মামলা হয় কানাডা ও বাংলাদেশে।
সমালোচনার মধ্যে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় আবুল হোসেনকে। দুর্নীতির অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এলেও ঘরে-বাইরে চাপের মধ্যে ২০১২ সালে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে সরে যেতে হয়।
কিন্তু পরে দুর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে রায় দেয় কানাডার একটি আদালত। বাংলাদেশেও দুদকের তদন্তে একই ফল আসে।
অনেক টানাপড়েনের পর বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে বাংলাদেশ। পদ্মা সেতু নির্মিত হয় সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে। তবে সৈয়দ আবুল হোসেনের আর রাজনীতিতে ফেরা হয়নি।