“আগামী দিনে যেসব আন্দোলন কর্মসূচির ডাক আসছে, সেসব আন্দোলনে সাধারণ জনগণকে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে,” বলেন তিনি।
Published : 27 Jan 2024, 04:28 PM
বিএনপি যে আন্দোলনে নেমেছে তা সফল না হলে ‘ক্ষতি’ দলের নয়, হবে জনগণের- বলেছেন বিরোধী দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে উত্তরবঙ্গে টানা দ্বিতীয় দিনের রোডমার্চে নওগাঁর জেলখানা রোড মোড়ে জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
সরকার পতনের ‘এক দফা’ দাবিতে এদিন বগুড়া থেকে জয়পুরহাট, নওগাঁ হয়ে রাজশাহী পর্যন্ত রোডমার্চ হয়। আগের দিন মার্চ যায় রংপুর থেকে দিনাজপুর।
নওগাঁর জনভায় ফখরুল বলেন, “ভোটের অধিকার রক্ষা ও গণতন্ত্র মুক্তির যে লড়াই সংগ্রাম শুরু হয়েছে, অধিকার রক্ষার এই লড়াইয়ে হেরে গেলে বিএনপির খুব বেশি ক্ষতি হবে না। তবে এই লড়াইয়ে বাংলাদেশের জনগণের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে, এই লড়াইয়ে হেরে গেলে হেরে যাবে বাংলাদেশ।”
সরকার পতনের ‘চূড়ান্ত আন্দোলন’ শুরু হয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “২০১৪ সালের আগে ভোটার হয়েছেন এমন লাখ লাখ তরুণ ভোট দিতে পারেনি। এই তরুণরা উম্মুখ হয়ে আছে।
“আগামী দিনে যেসব আন্দোলন কর্মসূচির ডাক আসছে, সেসব আন্দোলনে সাধারণ জনগণকে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এই লড়াই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াই। এই লড়াই জনগণের ভোটের ও ভাতের অধিকার রক্ষার লড়াই। এই লড়াইয়ে জিততেই হবে।”
আওয়ামী লীগই এক সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়ে আন্দোলন করেছিল উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, “এখন তারাই সংবিধান দেখায়।”
‘২০১৪ ও ২০১৮ সালের মত’ নির্বাচন আর হবে না জানিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, “জনগণ আর ভুল করবে না। জনগণ আর শেয়ালের কাছে মুরগি আদি (বর্গা) দেবে না।“
“আওয়ামী লীগ বারবার দেশবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে’ অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, “যে সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে জনগণ ভোট দিতে পারে না, ভোট চুরি হয়ে যায়, ডাকাতি হয়ে যায়, সেই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া যায় না।”
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবিও জানান ফখরুল। বলেন, “অন্যথায় যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সরকারই দায়ী থাকবে।”
পথসভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন জেলার নেতারা।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)