“এই সরকার কারও কাছে কোনো জবাবদিহি করে না,” বলেন তিনি।
Published : 25 Aug 2023, 08:43 PM
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দেখতে পাচ্ছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
শুক্রবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বর্তমান সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চের কালো পতাকা গণমিছিল কর্মসূচির আগে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তার অভিযোগ, বতর্মান সরকার স্বৈরাচার ও জুলুমবাজ। এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে হবে।
এটিকে তিনি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, “এটাই হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
“গণঅভ্যুত্থান করে এদের বিদায় করতে হবে। গণজাগরণ শুরু হয়েছে, গণঅভ্যুত্থান করতে হবে। রাষ্ট্র নাই, রাষ্ট্র চুরি হয়েছে। আমরা যে রাষ্ট্রের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছি, সেই রাষ্ট্র নাই। যে রাষ্ট্রের জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ দিয়েছে, মা বোনের ইজ্জতহানি হয়েছে, সেই রাষ্ট্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে।“
তার আরও অভিযোগ, “এই সরকার কারও কাছে কোনো জবাবদিহি করে না। এই সরকারের অধীনে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। পার্লামেন্ট বাতিল না হলে আমরা নির্বাচনে যাব না।”
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “এই ভোট চোর সরকার আর দরকার নাই। এর বিরুদ্ধে লড়াই চলবে, যতই নির্যাতন করুক। চোর-লুটপাটকারীদের জায়গা বাংলাদেশে হবে না।“
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক অভিযোগ করে বলেন, “বিশেষ বিবেচনা করে সরকার রাষ্ট্রীয় টাকা লুটেরাদের হাতে তুলে দিচ্ছে । পুরো দেশটাকে তারা লুটপাটের স্বর্গে পরিণত করছে। এই সরকার পুরোপুরি মাফিয়াদের সরকার।“
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, “সরকার বুঝে গেছে- তাদের আয়ু ফুরিয়ে এসেছে। এই সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তাই তারা লুটপাট শুরু করে দিয়েছে।”
সমাবেশে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বক্তব্য দেন।
অপরদিকে বিএনপি ও সমমনা জোটের ‘এক দফা’ দাবি কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের একাংশ (নুর) আলাদা গণমিছিল করে। এর আগে পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে দলটি।
এতে দলের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানছে না বর্তমান সরকার। সংবিধানের দোহাই দেবেন না, ১৭ বার সংশোধন করা হয়েছে সংবিধান, আরেকবার সংশোধন করে নির্বাচন দিন।
তার অভিযোগ, প্রশাসনে দলীয়করণ করে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়াচ্ছে, বিরোধী দলসমূহের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে মামলা দিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে।
“আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, হামলা-মামলা করে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের এক দফার আন্দোলন থেকে দূরে রাখা যাবে না। সরকারের পতন ব্যতীত আমরা রাজপথ থেকে ঘরে ফিরব না।“
একটি সংবাদপত্রের খবরের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আমাদেরকে হেয় করার জন্য একটি চক্র চক্রান্ত করছে। আমরা চাঁদা তুলে একটি কার্যালয় করার চিন্তায় আছি কিন্তু সাড়ে তিন কোটি টাকার কোনো ব্যক্তিগত ফ্ল্যাট নেই।“
সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বক্তব্য দেন।