‘আমরা দোষী না, অপরাধী না’, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কাদের

মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। এ কষ্ট সাময়িক, এ দুর্দিন চলে যাবে, আশা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 August 2022, 11:54 AM
Updated : 18 August 2022, 11:54 AM

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় দেশের মানুষের যে কষ্ট তা ‘সাময়িক’ এবং অচিরেই দুঃসময় কেটে যাবে বলে আশা করছেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, “আমরা দোষী না, আমরা অপরাধী না। আমাদের আর্থিক সংকটে বৈশ্বিক পরিস্থিতির মূল্য দিতে হচ্ছে।…মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। এ কষ্ট সাময়িক, এ দুর্দিন চলে যাবে।

“শেখ হাসিনাকে মূল্য দিতে হচ্ছে। রাত জেগে জেগে দেশের মানুষের কথা ভাবতে হচ্ছে। ধৈর্যহারা হবেন না কেউ, ইনশাল্লাহ এই দিন থাকবে না।”

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে ‘পিতার শোক, কন্যার শক্তি বাংলার অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এতে ওবায়দুল কাদের বলেন, “শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী, মানুষের কষ্ট বোঝেন। নিজেই বলেছেন, মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। সরকারপ্রধান হয়ে তিনি নিজেই বলেছেন, মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।

“এই কষ্ট লাঘবের উদ্যোগ তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন। এ কষ্ট সাময়িক, এ দুর্দিন চলে যাবে।”

বিএনপির আন্দোলনের প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, “আন্দোলন করবেন, ব্যর্থ হলে নন্দঘোষ আওয়ামী লীগ। সোনার হারিণ, দেখা তো মিলল না। আন্দোলনের সোনার হরিণ দেখা না দিলে ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন কোনো দিনও দেখা দেবে না।

“এই দেশে ভিত্তি নিয়ে নির্বাচনে যেতে হয়। এ দেশে আন্দোলনে জিতলে নির্বাচনেও জেতা যাবে। ষড়যন্ত্র করে কাউকে হত্যা করতে পারবেন, ক্ষমতা পাওয়া যাবে না।”

কাদের বলেন, “১৩ বছর ধরে কত দেখলাম, কোরবানির ঈদের পর, রোজার ঈদের পর, দিন যায়, সপ্তাহ মাস বছর যায়, পদ্মা মেঘনার কত পানি গড়িয়ে যায়। কিন্তু ফখরুল সাহেবদের আন্দোলনের সোনার হরিণের দেখা পাওয়া যায় না। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন দিল্লী দুরস্ত। এখনও অনেক দূরে।”

বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে কাদের বলেন, “কষ্ট প্রকাশ করে কী করবেন? শেখ হাসিনাকে আল্লাহ ক্ষমতা দিয়েছে। তিনি ভাগ্যবতী।

“আল্লাহ পাক এই দেশে একজনকে সৃষ্টি করেছেন স্বাধীনতার জন্য, আরেকজনকে সৃষ্টি করেছেন মুক্তির জন্য। মুক্তির জন্য শোককে শক্তিতে পরিণত করে মুক্তির লড়াইয়ের আপসহীন কাণ্ডারি শেখ হাসিনা।”

খালেদা জিয়ার জন্মদিনের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “দুদিন আগে দেখলাম, বেগম জিয়ার জন্ম দিবসে এবার কেক কাটা হচ্ছে না। ১৫ তারিখে কেক কাটা হয়নি। কিন্তু ১৬ তারিখে দোয়া মাহফিল করা হয়েছে।

“বেগম জিয়া অসুস্থ, দোয়া মাহফিলে আমাদের আপত্তি থাকার কথা না। কিন্তু দোয়া মাহফিলটার উপলক্ষ কী? উপলক্ষ খালেদা জিয়ার জন্মদিন। এখনও ভুয়া জন্মদিন পালন করা হচ্ছে। একটা মানুষের কয়টা জন্মদিন? এ পর্যন্ত সর্বশেষ করোনা টেস্টে ষষ্ঠ জন্ম দিবস। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে এ তামাশার নাটক আর কতদিন করবেন।”

আলোচনা সভায় ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বক্তব্য দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।