২৮৭ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী ঘোষণা

আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে প্রার্থীদের।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘোষণার পরদিন ২৮৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি।

সোমবার বিকালে বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

৩০০ আসনের মধ্যে যে ১৩টি আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে, তার মধ্যে আছে দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের ময়মনসিংহ-৪ আসন। আর রওশনপুত্র রাহগির আলমাহি এরশাদের (সাদ এরশাদ) রংপুর-৩ আসনে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, “আমাদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার (রওশন এরশাদ) মান-অভিমানের বিষয় আছে কি না, সেটা আমরা জানি না। তার সঙ্গে আমাদের মান-অভিমানের সুযোগ নেই। উনি আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র।”

রওশান এরশাদের কাছ থেকে একাধিকবার ফোন পাওয়ার কথা জানিয়ে চুন্নু বলেন, “প্রথমে দুইটি ফরমের কথা বলেছেন, পরে তিনটি ফরমের কথা বলেছেন। আমার চেয়ারম্যান আমাকে বলেছেন, ‘উনি তিনটা ফরমের কথা বলেছেন, উনি আসলে তিনটা ফরমই দিও’।

“আমি বলেছি, আপনি যদি লোক পাঠান বা আপনি যদি হুকুম করে নির্দেশ দেন- আমি নিজে গিয়ে দিয়ে আসব আপনাকে। তিনি আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন নাই, কোন লোকও পাঠান নাই।"

রওশন এরশাদের আসন ছাড়াও যে ১২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি, তার মধ্যে আছে-শেরপুর-২, ফরিদপুর-২, ফরিদপুর-৪, গোপালগঞ্জ-৩, শরীয়তপুর-১, সুনামগঞ্জ-২, সুনামগঞ্জ-৩, মৌলভীবাজার-৪, হবিগঞ্জ-২, লক্ষ্মীপুর-৪, চট্টগ্রাম ১০ এবং চট্টগ্রাম-১১।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চুন্নু বলেন, "প্রার্থী চূড়ান্ত করতে না পারায় ১২টি আসনে নাম ঘোষণা করা হয়নি।"

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের রংপুর-৩ ছাড়াও ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী) আসনে লাঙ্গলের টিকেট পেয়েছেন। তিনি বর্তমানে লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য। তার স্ত্রী শেরীফা কাদের মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকা-১৮ আসনে।

দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু লাঙ্গল প্রতীকে লড়বেন কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে, কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চট্টগ্রাম-৫ আসনে, কাজী ফিরোজ রশীদ ঢাকা-৬ আসনে এবং সালমা ইসলাম ঢাকা-১ আসনে লড়বেন।

গত সপ্তাহে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমার কাজ চলে। এরপর মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শেষে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম জানাল দলটি।

আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ দিয়ে নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের যে তফসিল ঘোষণা করেছে তাতে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচন থেকেই আওয়ামী লীগ, ১৪ দল ও জাতীয় পার্টি আসন সমঝোতা করে ভোটে অংশ নিচ্ছে। তবে এবার কোনো জোট বা কারও সঙ্গে আসন সমঝোতায় না যাওয়ার কথা গত বুধবার জানিয়েছিলেন মুজিবুল হক চুন্নু।

তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টি কোনো জোটে যাবে না, ৩০০ আসনেই নির্বাচন করবে।… আমরা কারো সঙ্গে আসন সমঝোতায় যাব না।”