মৃত্যুবার্ষিকীতে সৈয়দ আশরাফের প্রতি আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা

২০১৯ সালের এই দিনে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে মৃত্যু হয় সৈয়দ আশরাফের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Jan 2023, 09:27 AM
Updated : 3 Jan 2023, 09:27 AM

দলের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। 

মঙ্গলবার সৈয়দ আশরাফের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৯ সালের এই দিনে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত এই সাবেক মন্ত্রীর। 

সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমৃদ বলেন, “তিনি (সৈয়দ আশরাফ) মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। জাতীয় চার নেতার অন্যতম এবং বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন যিনি ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন– সেই সৈয়দ নজরুল ইসলামের সুযোগ্য পুত্র তিনি।“ 

দলের প্রয়াত এই সহকর্মীকে একজন ‘পরিশীলিত মানুষ’ বর্ণনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুইবারের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তার মৃত্যুটা আমাদের কাছে ছিল অপ্রত্যাশিত...। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি একজন সজ্জন পরিশীলিত মানুষ ছিলেন। লোভ-লালসার পেছনে তিনি কখনো ছোটেননি।

“রাজনীতিকে ব্রত হিসেবেই নিয়েছিলেন। তার কাছে নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের অনেক কিছু শেখার আছে। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।" 

বনানীতে সৈয়দ আশরাফের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, যুবলীগ এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা ছিলেন। 

এছাড়া সৈয়দ আশরাফের ছোট বোন সৈয়দা জাকিয়া বারী লিপিসহ পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন সে সময়। 

১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত সৈয়দ আশরাফ ছাত্রলীগের বৃহত্তর ময়মনসিংহ শাখার সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদকও ছিলেন। ছিলেন জনপ্রশাসনমন্ত্রীর দায়িত্বেও। 

১৯৭৫ সালের অগাস্ট ট্র্যাজেডির পর নভেম্বরে কারাগারে সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। বিরূপ ওই পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছিলেন আশরাফ। লন্ডনে নির্বাসিত জীবনে প্রবাসে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে ভূমিকা রাখেন তিনি।

দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আশরাফ। এরপর মোট পাঁচবার তিনি কিশোরগঞ্জ থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হন।

২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হলে সৈয়দ আশরাফ দলের হাল ধরেন। ওই বিশ্বস্ততার পুরস্কার হিসেবে পরে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আসেন তিনি।

দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর ২০১৬ সালের কাউন্সিলে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীতে নিয়ে যান শেখ হাসিনা।

পুরনো খবর

Also Read: সৈয়দ আশরাফ নেই