ইসলামী আন্দোলনের এই নেতার লেনদেনের যাবতীয় তথ্য ৫ কর্মদিবসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে।
Published : 11 Oct 2022, 11:33 PM
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
ফয়জুল করিমের ব্যাংক তথ্য চাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে বিএফআইইউ এ ধরনের তথ্য চাইতে পারে।”
আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি ইউনিট হিসেবে পথচলা শুরু করলেও সেটি এখন স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে।
মঙ্গলবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে ফয়জুল করীমের ব্যাংক হিসাবের লেনদেনের তথ্য চেয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠি পাওয়ার পাওয়ার ৫ কর্মদিবসের মধ্যে তার লেনদেনের যাবতীয় তথ্য জানাতে বলা হয় ব্যাংকগুলোকে।
ব্যাংক হিসাব চালুর পর থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী ও সঞ্চয করা অর্থের পরিমানসহ বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে। কোনো হিসাব বন্ধ হয়ে থাকলে সে তথ্যও জানাতে বলা হয়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মাওলানা সৈয়দ ফজলুল করীমের ছেলে মুফতি ফয়জুল করীম ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে আলোচনায় এসেছিলেন। সেসময় হেফাজতে ইসলামের তৎকালীন আমির জুনাইদ বাবুনগরী, সৈয়দ ফয়জুল করীম ও মামুনুল হকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়।
ওই মামলায় সৈয়দ ফয়জুল করীম সম্পর্কে বলা হয়, ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর এ আসামি যাত্রাবাড়ীর গেন্ডারিয়ায় তৌহিদী জনতার ব্যানারে সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে বলেন, “আন্দোলন করব, সংগ্রাম করব, জিহাদ করব। রক্ত দিতে চাই না, দিলে বন্ধ হবে না। রাশিয়ার লেনিনের ৭২ ফুট মূর্তি যদি ক্রেন দিয়ে তুলে সাগরে নিক্ষেপ করতে পারে তাহলে শেখ সাহেবের মূর্তি আজকে হোক কালকে হোক তুলে বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপ করা হবে।”
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা নিয়ে ২০১৬ সালে দেওয়া ফয়জুল করীমের এক বক্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তিনি ওই বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘‘১৯১১ সালে বাংলাদেশের রাজধানীর বুকে যে ইউনিভার্সিটির প্রস্তাব করা হয়েছিল, একমাত্র হিন্দুদের বিরোধিতার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি৷ সেই ইউনিভার্সিটি স্থাপন করা হয়েছিল ১৯২১ সনে নবাব সলিমুল্লাহর প্রস্তাবে৷ কোনো খ্রিস্টান, কোনো হিন্দু বা নাস্তিকদের প্রস্তাবে এই ইউনিভার্সিটি করা হয়নি৷ কাজেই ইউনিভার্সিটি মুসলমানদের ইউনিভার্সিটি, এখানে কোনো নাস্তিক থাকতে পারবে না।”